পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/২৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ミ"tr মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্ৰহ দেখ ! বাঙ্গালীর-হৃদয়ে সাহস আছে কি না । দেখ ! ভৈরবের হৃদয় আছে কি না । এই বলিয়া পকেট হইতে ডিক্রিখ গু বাহির করিয়া স্বহস্তে ছিড়িয়া কেনীর হস্তে দিয়া বলিলেন—“যাও ! তোমায় ভিক্ষা দিলাম । চোদ হাজার টাকার ডিক্রি হইতে তোমাকে ছাড়িয়া দিলাম।” কেনী মহালজ্জিত ভাবে বিশেষ নম্র ও ভদ্রতার সহিত ভৈরববাবুর হস্ত ধরিয়! কাছবিগৃহ হইতে বাহিরে আসিয়া বলিলেন— বাবু! আমি জানিলাম তুমি যথার্থ বাবু। আমি আব কখনও তোমাব সঙ্গে বিবাদ-বিসস্বাদ কবিব না । তোমার সহিত আর আমার কোনদিন কোন কারণে বিবাদ হইবে না এই প্রতিজ্ঞা করিলাম ।’’ পরস্পর করমর্দন করিয়া বিদায় হইলেন। সকলে ভৈবববাবুর সাহস, উদারতা দেখিয়া অবাক হইল। কেনী সেই হইতে জীবিতকাল পর্য্যস্ত ভৈরববাবুর সঙ্গে বন্ধুত্বভাৰ বজায় বাখিয়াছিলেন । প্রতিজ্ঞা বক্ষা করিয়াছিলেন। ত্রিংশ তবঙ্গ সংসার পাঠক ! মীরসাহেবকে অনেকদিন হইল গৌবীনদীর গর্ভে সাওতার ঘাট হইতে নৌকায় ভাসাইয়া দিয়াছি। আজিও ভাসিলেন, কালিও ভাসিলেন বলিয়া বিদায় করিয়াছি । তিনি সময়মতো সিরাজগঞ্জ যাইয়া ভগ্নীর-বাটতে গিয়াছেন। বিষয়-সম্পত্তির তত্ত্বাবধাযন করিতেছেন । এদিকে সা গোলাম “অছিযতনামা’’ আপন মনমত পরিবর্তন করিয়া লইয়াছেন । আব আর যাহা অবশিষ্ট ছিল, যে যে দলিল পরিবর্তন করিতে আবশ্বক হইয়াছিল, স্তযোগ পাইয়া সমুদায় দলিল পরিবর্তন করিয়াছেন । সেরেস্তার অন্যান্য কাগজপত্র যাহার যেখানে দোষ ছিল, সমুদায় সারিয়াছেন। প্রধান প্রধান জালসজিদিগের আশ্রয়ে, অর্থেব সাহায্যে এ সকল সাংঘাতিক ঘটন-ঘটাইয়া, আটঘটি বান্ধিয়া দলিল দস্তাবেজ দুরস্ত করিয়া নিশ্চিন্তভাবে বসিয়া আছেন। চাকর-চাকরাণীরা অনেকদিন হইতেই তাহার বাধ্য হইয়াছে। কাহাকে কৌশলে, কাহাকে অর্থে, কাহাকে তোষামোদে—যাহাকে যাহা দিয়া বাধ্য করিতে হয়, দিয়া আপন মনমত সাজে সাজাইয়া রাখিযাছেন । ঘরাও-বিবাদে প্রতিবেশি এবং দেশের লোকের বড়ই আনন্দ । লক্ষ্মীশ্ৰী যাহার চক্ষে সহ হয় না, নির্বিববাদে কোন পরিবার একত্র একজোটে থাকা যে নরাধম দেখিতে পারে না, আপন স্বার্থের জন্য সা গোলামের সঙ্গে যোগ দিয়াছে। যে