পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/২৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উদাসীন পথিকের মনের কথা ఇ\రినా পিশাচ ঘরাও-বিবাদ বাধাইয়া দিয়া বেশ দশ টাকা উপার্জন করিয়া আদর বাড়ায়, সকল লোকেই সা গোলামের সাহায্যে দাড়াইয়াছে । যাহারা মীরসাহেবের নিকট কখনই স্থান পায় নাই তাহারাই এক্ষণে সা গোলামের পরামর্শদাতা । যে নীচ প্রকৃতির লোকেরা সাওতাব বাটির চতুঃসীমায় আসিতে থরহরি কম্পে কঁপিয়াছে, তাহারাই এক্ষণে সা গোলামেব প্রধান সাহেব । যাহাঁদের কোন স্বার্থ নাই, তাহারাও খোসগল্পের এক অঙ্গ মনে কবিয়া সময় সময় আসিতেছেন, যাইতেছেন। ঐ সকল কথা লইয়াই তোলাপাড়া করিয়া কাল কাটাইতেছেন । কাহার সৰ্ব্বনাশ, কাহার পৌষমাস। কেউ ধনেপ্রাণে বিষয়-সম্পত্তি-হারা হইয়া পথের কাঙ্গল হইতেছে। কেহ ঐ ঘটনা লইয়া কত কথায় কত আমোদ মনে কবিয়া আমোদে মাতিয়াছে । কেহ “মামার জয়” মতে মত প্রকাশ করিতেছে । কেহ কেহ সা গোলামের মনেব মধ্যে প্রবেশ করিতে মৌখিক মীরসাহেবের স্বপক্ষ হইয়া দুটি কথা বলিয়া অপর পক্ষের উত্তবেই হাব মানিয়া চুপ করিয়া বসিয়া সা গোলামের মনের মধ্যে যাইতে ঘুরিতেছে । স গোলাম নিজেই নাচিতে দাড়াইয়াছেন। তাহাবপর তোষামোদে কুকুরের পদ-সেবার আনন্দে মাতিয়া সকল কথা ভুলিয়। ঘরভাঙ্গ লোকের কথায় কান দিয়া, আরও নাচিয়া উঠিয়াছেন । একথা ভাবিতেছেন না যে জগৎ কয়দিনের । মিথ্যা-প্রবঞ্চনা করিয়া একজনকে ঠকাইলে তাহার প্রতিফল অবশ্যই একদিন না একদিন ফলিবে । সে পাপের প্রায়শ্চিত্ত একদিন হইবেই হইবে। সে পাপভোগ একদিন ভূগিতেই হইবে । একপ্রকার গুপ্ত-ডাকাতি করিয়া মীবসাহেবকে পথের ভিখারী কবিতে বসিয়াছেন। কিন্তু ঈশ্বরের মহিমা অপার । যে ঈশ্বর স্বষ্টি করিয়াছেন, তিনি অবশুই তাহব জীবিকা নিৰ্ব্বাহের কোন উপায় করিয়া দিবেন। কথা চিরকাল থাকিবে । জগৎ যতদিন কথাও ততদিন ! হায়রে সংসার ! দেবীপ্রসাদের মন্ত্রণায় জামাইবাবু সকল কাৰ্য্য দৃঢরূপে পাকা করিয়া বাখিতেছেন । শেষদিনের কথা এখন কিছুতেই মনে স্থান পাইতেছেন না । রে মানুষ ! রে সংসার ! বে বিষয় । রে জমিদারী ! রে লোভ ! রে জামাই ! তোর অসাধ্য কিছুই নাই । মীরসাহেব ভগ্নীর-বাটিতে কয়েক মাস থাকিয় তাহার বিষয়াদির সুশৃঙ্খলা করিয়া বাটি আসিতে মনস্থ করিলেন। ইহার মধ্যে দুই-তিন খানি মাত্র পত্র