পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/২৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উদাসীন পথিকের মনেব কথা R 8Ꮼ একত্রিংশ তরঙ্গ দৌলতননেসা মাননীয় দৌলতননেস দেখিতে উজ্জল খামবর্ণ, মধ্যমাকুতি। চক্ষু, কণ, নাসিক, ক্ৰ, ললাট নিখুত । সে পবিত্র রূপের বর্ণনা কবা পথিকের অসাধ্য। অপবের সহিত তুলনা কবিয়া, দৃষ্টান্ত দেখাইয়া বুঝাইয দিতেও অক্ষম। মুসলমান বমণী মধ্যে অনেক খুজিলাম, পাইলাম না । হয় তো এ কথায় পাঠক মাত্রেই উদাসীন পথিককে পাগল মনে করিতে পারেন। কি কবিব ! পথিকেব চক্ষে যদি জগতেব কোন ধমণীকেই দৌলতননেসাব সহিত তুলনা কবিয়া দেখাইতে না পারে তবে সে কি কবিবে? তবে কি উপমা রহিত ? না তাহাও নহে । কিন্তু পথিকেব চক্ষে বটে। এই সকল কথায় কোন পাঠক ক্রোধে জলিযা-পুড়িয়! যদি এই ত বঙ্গ পাঠ না কবেন, আক্ষেপ নাই । কাবণ জগৎ পবাধীন, মন স্বাধীন। পথিকের চিন্তাপথে কতকগুলি মুসলমান রমণী আসিয়া বিশুদ্ধভাবে দাড়াইলেন । ইহাদেব মধ্যে বাজকন্যা, মহামাননীয় বংশেব অতি-পবিত্র, সদচরিত্র, দেবীসদৃশু, বমণীকুলের শিরোমণি মহোদয়গণও বহিয়াছেন । মহামতি লিখকগণ-হস্তে যিনি, যে অবস্থায় যে প্রকাব কল্পনার চক্ষে পড়িয়াছেন উহার মধ্যে র্তাহাব ও অনেক বহিযাছেন । কিন্তু পথিকের চক্ষের দোষে, তাহাদিগকে যেন কেমন কেমন দেখাইতেছে। উপস্থিত রমণীগণ মধ্যে— অনেকেই পবিত্র, অনেকেই স্বৰ্গীয়া রমণী-সদৃশ । অনেকেই রূপেগুণে ভুবনবিখ্যাত । কিন্তু সৰ্ব্ব-বিষয়ে সৰ্ব্বাঙ্গিনী সুন্দরী বলিয়া বহু চেষ্টাতেও পথিক আপন মনকে সেকথা স্বীকার করাইতে পারিল না । সে মনে দৌলস্তননেসার রূপই যেন জগতের আরাধ্যা, পথিক-চক্ষে ঐ রূপই যেন সকল রূপের শ্রেষ্ঠ বলিয়া বোধ হইতে লাগিল । সুতরাং তুলনা করিয়া পাঠকগণকে বুঝাইতে সক্ষম হইল না । তবে প্রাচীন কয়েকটি কথা শুনাইয়া উদ্দেশু সাধনে প্রয়াস পাইল বটে, কিন্তু তাহাতে অনেকেই চটিতে পারেন। মহানিলুক, মহাপাপী, বলিয়া নানাপ্রকার ভৎসনা করিতে পারেন—করুন, পথিক তাহা সহ করিবে । কিন্তু কথা শুনাইতে ক্ষাস্ত হইবে না। যাহার যেরূপ মনের গতি এবং মাথার ক্ষমতা, তিনি সেইরূপ বুঝিয়া লইবেন । যথা— প্রভু মহম্মদের স্ত্রী, ইহারা মহাপবিত্র এবং পূণ্যবতী ? দৌলতননেসা