পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/২৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ミ88 মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্ৰহ র্তাহাদের কিঙ্করীৰ কিঙ্কৰী ! মুসলমান জগৎ-চক্ষে তাহাদের দাসীর দাসী । কিন্তু সপত্নী বাদে, হিংসার আগুনে তিনি মনে মনে জলিয়া-পুড়িয়া খাক হইয়াছেন কিনা তাহা অস্ত্র্যামী ভগবান ভিন্ন মামুষে কখনই জানিতে পারে নাই । আকারপ্রকারে, হাবভাবেও কখন সে ভাব কেহ দেখে নাই । তাহার সমুজ্জল দৃষ্টাস্ত জলস্ত অক্ষরে পরে দেখাইব । আর একটি কথা— প্রভু মহম্মদের কন্যা মহামান্ত হাসেন-হোসেনের জননীবিবি যিনি ইসলাম জগতে রমণীকুলেব সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ । সকলের মাননীয় এবং আশ্রয়দাত্রী । তিনিও কিন্তু সপত্নীবাদ—মহানলকে হৃদয়ে আশ্রয় দিয়াছিলেন । সে মহাযাতনাসস্তুত মহাবিষ সে পবিত্র শবীবেও প্রবেশ কবিয়াছিল । পয়গম্বরেব দুহিতা, এমামেব জননী, মহাবীরেব অঙ্ক-লক্ষী হইয়াও ( হিংসার কল্যাণে ) সে মহাবেগ হইতে মনকে রক্ষা করিতে পারেন নাই। অনেক সময় বিবি হমুফার নামে জলিযা উঠতেন । পথিকেব পূজনীয়া দেবী, এক মুহূৰ্ত্তেব জন্য শক্রমুখে কখনও অপবাদগ্ৰস্ত হন নাই ! সে মিথ্যাবাদে অতি অল্পকালেব জন্যও স্বামীর মন হইতে সবিয়া যান নাই । ইহা কি কুলস্ত্রীর গোববের কথা নহে? —উদাসীন পথিকের কি গৌববের কথা নহে ? বিবি আয়েষাসিদিক হজবাত মহম্মদেব প্রিযতম স্ত্রী । শাস্ত্রে বলে হজরত নূরনবী মহম্মদ, আয়েষাসিদিকাব বক্ষে পবিত্র মস্তক রাখিযা জগৎ পরিত্যাগ করিয়াছেন। জীবনের শেষসীমায় ভালবাসার সম্পূর্ণ চিহ্ন জগতে ভাল কবিয়া দেখাইয়া গিয়াছেন। সে সময় আয়েধসিদ্দিকীর বয়স সবে আঠার বৎসব ছিল। এত অল্পবয়সে পতি-পরায়ণ, পতিগত-প্রাণ ছিলেন । বদরল আকবরির যুদ্ধের পর মদিনায় ফিবিয়া আসিতে মিথ্যাপবাদে কিছুদিনেব জন্য সে পবিত্র রমণীকেও স্বামীর অপ্রিয়পাত্ৰী হইতে হইয়াছিল । রমণী-প্রধান বিবি খাদিজা প্ৰভু মহম্মদেব প্রধান স্ত্রী । কয়েক স্বামীব পর চল্লিশ বৎসর বয়সে হজরত মহম্মদের কার্য্যে ৪ বিশ্বাস-গুণে বয়সের নুনাধিক্য থাকা সত্ত্বেও যুবা মহম্মদকে পতিত্বে বরণ করিয়াছিলেন। সে সময় প্রভুর বয়স পচিশ বৎসর। তখনও ধৰ্ম্মোপদেষ্ট বলিয়া আরব-খণ্ডে পরিচিত হন নাই । পথিকের পূজনীয়া দেবী আজীবন এক স্বামীপদ কায়মনে সেবা করিয়া, সেক্ট স্বামীপদ-প্রাস্তে মস্তক রাখিয়া জগৎ কান্দাইয়া, জগৎ হইতে চলিয়া গিয়াছেন । ইহাও পথিকের কম গৌরবের কথা নহে। “