পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/২৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উদাসীন পথিকের মনের কথা :8ግ অন্যায । তুমি কিছুই বলিতেছ না, কিন্তু ভাল হইতেছে না। শেষে বড়ই পস্তাইবে । দৌলতননেস হাসিয়া বলিতেন। বাড়ি-ঘর, টাকা, কাহার ? বলতে বোন ! আপন জীবনই যখন আপনাব নয়, এ-জগতই যখন চিরস্থায়ী নয়, তখন গৌরব কিসের ? তারপবে তাহার সকলি ছিল। আমার সম্পত্তির চতুগুণ সম্পত্তি তিনি কিনিতে পারিতেন, এত টাকা তাহাব ছিল। না ছিল কি ? সস্তানসন্ততি, পরিবার সকলই ছিল । সংসাবে লোকের যাহ! চাই, সকলি অতি পরিপাটিরূপে র্তাহাব ছিল। সে সকল এখন নাই। আশ্চর্য্য কথা-—তিনি সে সকল কথা লইয়া কোনদিন কোন কথা মুখে আনেন না । কিন্তু তাহার মনে যে কিছু না বলে এরূপ নহে । এখন ভাব দেখি বোন ! তাহাব মনে দুঃখ কত ? ও গানবাজনা, নাচ ধরিতে নাই। ও বামাকণ্ঠে কোন কুভবেব কাবণ নাই । আবে কারণ থাকিলেই বা কি ? আমি ইহাই চাই, আর ইহাই ঈশ্ববেব নিকট সৰ্ব্বদা প্রার্থনা কবি যে তিনি সুখে থাকুন। তাহার অসীম-চিন্ত অস্তব ইষ্টতে দুব ইউক, তাহার মনেব দু:খ ক্রমে উপশম হউক। তিনি যাহতে সুখে থাকেন সেই আমার মুখ । প্রতিবেশীব! এই সকল কথা শুনিয়া অবাক হইযা বহত । কেহ বা রাগ করিয়! উঠিয়াই চলিয়া যাতত । দ্বীত্রিংশ তবঙ্গ অপুৰ্ব্ব দৃশ্য জগৎ অসীম নহে। সমূদ্রতলও অতলস্পর্শ নহে । জগতে যাহা আছে, তাহাব সীমাপরিমাণ, শেষ যাহাই কেন বল, না অবশুই আছে । সুখ, দুঃখ, বিরহ, যন্ত্রণা, উন্নতি, অবনতি সকলই ঐ সীমারেখারই মধ্যগত। জন্মই মৃত্যুর কারণ। মুস্থতাই পীডাব পূৰ্ব্ব-লক্ষণ, একটু চিস্তা করিয়া দেখিলে ঐ দুইটি কথার মধ্যে, আদি, মধ্য, অস্তসীমা সকলই রহিয়াছে ! আবার দেখুন, উদয়ই অস্তের কারণ ! বজনীই প্রভাতের আদি-লক্ষণ ! প্রভাত আছে বলিয়াই আবার সন্ধ্যা । সুতরাং উন্নতির শেষসীমাই অবনতির সূত্রপাত। সীমাবেখ!-স্পশ করিলেই পরিবর্তন । কেনীয় দেীরাত্মো অগ্নি রহিয়া রহিয়া জলিস একেবারে সীমারেখা পৰ্য্যন্ত গিয়া ঠেকিয়াছে। কার সাধ্য রক্ষা করে ? প্রকৃতি কাহারও নিজস্ব-রূপে আয়ত্তাধীন নহে। স্ব-ভাবের অভাব কখনই হইতে পারে না। জমিদার, তালুকদার,