পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/২৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Հ Տbr মীর মশাররফ হোসেন বচনাসংগ্ৰহ মধ্যশ্রেণী, কৃষকশ্রেণী প্রভৃতি যাবতীয় শ্রেণীর লোকেরই অসহ্য হইয়া উঠিল। প্রাণ যায়, আর সহ হয় না। কি করে কোথায গেলে বক্ষা পায় ! কিছুই স্থির করিতে পারিতেছে না। কিন্তু মনের গতি অন্যপ্রকাব দাডাইয়াছে ! অন্যদিকে হরিশের হৃদয়ভেদী বক্ততায়, এবং “পেটরিয়টের" সেই জলস্ত ভাবপূর্ণ বাক-বিতণ্ডায় অনেক বঙ্গভূষণের হৃদয় দুঃখে গলিয়া গিয়াছে। নীলকরের বিরুদ্ধে একটু উত্তেজিত না হইয়াছে তাহীও নহে । দীনবন্ধু, দীনবন্ধুব মহামূল্য দৰ্পণখানি অনেকের ঘরেই উঠিয়াছে। অনেকেব হস্তে উঠিয়া যাহা দেখাইবার তাহাও দেখাইতেছে। ভারত-বন্ধু লং দৰ্পণখনি বেলাতীসাজে সাজাইতে গিয়া কাবাবাসী হইয়াছেন । জরিমানীর হাজ বি টাকা দাতা কালী সিংহ আনন্দ-সহকাবে দান করিয৷ তবজমা-কাবককে খালাস কবিযাছেন । মাননীয় হর্সেল বাহাদুর ভারতীয় সিভিল সার্ভিস আকাশে পূর্ণ-জ্যোতি-সহকারে, পূর্ণ-কলেবরে, পূর্ণচন্দ্ররূপে দেখা দিয়াছেন । প্রজার দুর্দশ স্বচক্ষে দেখিতেছেন। প্রজার আর্তনাদে বঙ্গেশ্বরেব আসন পর্য্যস্ত টলিয়াছে। মহামতি লাটবাহাদুর প্রজার দূরবস্তা স্বচক্ষে দেখিবার জন্য নীলকবেব দেীবাত্ম্য স্বযং তদন্ত জন্ত “সোনামুখী” আশ্রয়ে মফস্বলে বাহিব হইযাছেন । বর্ষাকাল। কালীগঙ্গা জলে পবিপূর্ণ। “সোনামুখী” নদীয়া অঞ্চল ঘুবিয়া, কুমারনদ হইয৷ কালীগঙ্গয় পডিয়াছে । কালীগঙ্গাব আজ অপার-আনন্দ । বঙ্গেশ্বরের বাষ্পীয়তরী বক্ষে করিয প্রজার ববস্থা, নীলকরেব অত্যাচার দেখাইতে দেখাইতে ক্রমে শালঘব মধুষার কাঠ পর্যান্ত লইয়া আসিয়াছে পাঠক! যখন সৌভাগ্য গগনে ঝুৰাতাস বহিতে থাকে, তখন তাহ নিবারণ করিতে কাহারও সাধ্য হয় না। আজ প্রজাব ভাগ্যে তাহাই ঘটিয়াছে । সকলেই শুনিয়াছে যে এই জাহাজে লাটসাহেব আসিয়াছেন । আমাদের যথার্থ রাজা এই কলের নৌকায় আসিয়াছেন । প্রাণ ভরিয়া প্রাণের কথা লাটসাহেবকে শুনাইব । মনের কথা মন ভরিয়া বলিব । আমাদের দুঃখের কাহিনী শুনিতেই বঙ্গাধীপ স্বয়ং মফস্বলে বাহির হইয়াছেন । প্রজার মনে এই বিশ্বাস । ঘটনাও তাহাই—ঘটিলও তাহাই । কালীগঙ্গার দুইধারে সহস্রাধিক প্রজা ষ্টিমারের সঙ্গে সঙ্গে দৌড়িয়া চলিল । শুধু দৌড়িল তাহা নহে—সহস্ৰমুখে বলিতে লাগিল—দোহাই ধৰ্ম্মাবতার ! আমরা