পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/২৬০

উদাসীন পথিকের মনেব কথা ૨ (t S একথা কুঠিয়াল পক্ষেব মুখে জাবী হইল। প্রজার কানে উঠিতেও বাকি রহিল না। কিন্তু কেহই গ্রাহ করিল না। বাতাসে কথা আসিল বাতাসেই উডিয়ী গেল। প্রজার মনে সেই উৎসাহ, সেই অনন্দ । কাব কথা কে শোনে ? কে আজ সেকথা গ্রহ কবে, আমীন, তাগাদপাব, পাইক, ববকন্দাজের হুকুমের চোটেই BBBB BBBBBS BB BBBBB BBB BB BB BBBS BBBS BB BBB প্রবেশ,—অন্য কানে ৰাহির | হুকুম অনুলেব ভযে প্রজাব হৃদয় থরহবি কম্পে আজ র্কাপিয়া উঠিল না। সাহসের উপব নির্ভব কবিয সকলে এক জোটবদ্ধ হইয জিলায় চলিল। কি আশ্চৰ্য্য ! খোদযমেব হুকুম আজ শুন্যে শুন্সে উডিয়া গেল । হিন্দু-মুসলমান একত্রে একযোগে পূর্ণ উৎসাহে বক্ষবিস্তাব কবিয়া হাসিতে হাসিতে ছুটিল । কাহাবও কোন কথা কানে কবিল না। কারও বাধা মানিল না । কাল বঙ্গেশ্বরেব মুখে যে কথা শুনিবাছে সেই কথাতেই প্রজাব চিব-পবিশুদ হৃদযে কথঞ্চিৎ আশাবারিব সঞ্চার হইয়াছে। তাহতেই এত আনন্দ । কার সাধা বাধা দেয ? কণব সাধা সে মাত ওযদিগেব গতি, ভয় দেখাইযা বলপূৰ্ব্বক রোধ করে ? কে তাহাদিগকে আটকাইয়। রাখিতে পাবে ? কাব সাধা তাহদেব সম্মুখে ঐ কথা মুখে কবিয়া দাডায় ? পথ-ঘাট ভবিয়া প্রজাগণ দলে দলে পাবনা অভিমুখে মনেব আনন্দে চলিল। প্রজার বল, প্রজীব সাহস, প্রজার ঐ সকল কথা কেনীর কর্ণে উঠিলে কেনী কি করিতেন, জানি না। তাহার কর্ণে এইমাত্র উঠিল যে— “অমুক-অমুক গ্রামেব প্রজার হুকুম মানিল না। নিশ্চয়ই তাহারা পাবনায যাইবে ।” আবে কি কথা আছে ? যেই শুনা অমনি হুকুম । প্রধান প্রধান আমলীগণ হাতিঘোড়ায় চডিয়া, যমদূতের ন্যায় বাছা বাছা সর্দার, লাঠিয়াল, হিন্দুস্থানী, দেশওয়ালী সেপাইগণ সঙ্গে কবিয মনিবেব নিকট বাহাদুরী লইতে, গ্রামে গ্রামে প্রজাদমনে চক্ষুবাঙ্গা করিয়া চলিলেন । চলিলেন—ন ছুটিলেন । যে দল যে গ্রামের প্রজার চক্ষে পড়িল, তাহদেব চক্ষের চাউনি দেখিয়াই তাহাদেব শরীব গরম হইয়া গেল। চক্ষের কথা তো আগেই বলা হইয়াছে। কাবণ যাহা কখনো দেখেন নাই, কানে শোনেন নাই, তাহাই দেখিলেন এবং শুনিলেন । গ্রামে প্রবেশ কবিতেই একজন শোর করিয়া বলিয়া উঠিল—“ঐ আসিযাছে, ঐ আসিযছে, তোরা কে কোথায় ?”—