পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/২৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨ઉ ર মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্ৰহ হাতের মাথায় যে যাহা পাইল, সে তাহা লইয়া ছুটিল । চক্ষেত্ৰ পলক ফিরাইতে না ফিরাইতে বহু লোক একত্রে দলবদ্ধ হইয়া হাত নাড়িয়া নাড়িয়া বলিতে লাগিল—“ভাল মানুষ হও তবে চলে মাও, যদি প্রাণের ভয় থাকে তবে ফিরে যাও। আব এক-প। এদিকে আসিলেই মাথা ভাঙ্গবো । কাল লাটসাহেৰেব মুখে শুনিয়াছি, কুঠেলসাহেবব। আমাদের রাজ নয়, হৰ্ত্তাকৰ্ত্তার মালিকও নয়। ওবে ! আমবা আগে বুঝিতে পারি নাই । আজ আমরা আমাদের রাজার দরবারে যাইব । এতদিন যা-যা কবেছ, তাই জানাব ! একটি কথাও মিছে বলিব না। এখন বেশ বুঝেছি । আর হবে না—এখন খুব বুঝেছি, আমবাও প্রজা তোমরাও KKS BBBg B BBBBB BB S BB BB BBB BSBB BBB বাড়িস না। আমবা যথার্থ বাজীব কাছে যাচ্ছি । তোদের ও-ভেল—রাজার কথা কে শোনে রে ?” কুঠিব চাকর ! কমপাত্র নহে সহসা হটিবার লোক মহে—হটিল না। কিন্তু প্রজার কথায় পায়ের তালু হইতে মাথা পৰ্য্যস্ত জলিয়া পুডিয়া খাক হইয়া গেল । ভাবিল না, চিন্তাও কবিল না, চিন্তা কবিবার সময়ও পাইল না । হঠাৎ এরূপ কেন হইল ? এরূপ পরিৰক্তন কেন ঘটিল ? উপস্থিত ক্ষেত্রে ভাবাও কঠিন কথা। চিস্তা করাও শক্ত কথা। তাহাতে কুঠিব চাকব, পূর্ণমাত্রায় সৰ্ব্বদাই রাগেচড়া। ঐ সকল মৰ্ম্মভেদী কথায় বেগে ভূত হইলেন। স্ব-স্ব পদ-মৰ্য্যাদা, কুঠির ক্ষমতা, নিজ এলাকা। কাল যাকে চাবুক সই কবেছি, সাহেবের হামচাদের ঘা আজ পর্য্যস্ত পিঠে বিরাজ করছে। উঠতে কানমলা, বসতে কানমলা, লাথি, কিল, চড়চাপড়ের সীমা কে করে ? মেয়েমাহুষ ধবে নীল কাটাইয়াছি । যে ব্যাট হাত নেড়ে বেশী কথা বলছে, কালও এই কালীগঙ্গায় ঐ ব্যাটার ঘাড়ে গুণবাড়ি দিয়া নীলের নৌকায় গুণ টানাইয়াছি । আজ এতবড় কথা, কি কা গু ! এই সকল কথা মনে মনে তুলিয়া শেষ করিতে করিতেই উত্তেজিতভাবে তেড়িমের করিয়া মুখে স্পষ্ট কথা ੇ মার ! দের ! মার ! দেৱ ! একমুখ হইতে কথা ছুটিতেই অধীনস্থদিগের পঞ্চাশ মুখে ঐ কথা— ঐ পীট পীট প্রায় পাঁচশত মুখে আস্তরিক ক্রোধের সহিত ঐ কথা—বেশীর