পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/২৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨ 4 પછ মীব মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্ৰহ সাপ খেলান চলিল না। দুইমন যোগাষ্ঠয় নিরাপদে থাকা আর ভাগ্যে ঘটিল না। মহা-সঙ্কটকাল উপস্থিত ! এই শ্রেণীমধ্যে মীরসাহেবও আছেন, মা গোলামও আছেন । কিন্তু পৃথক পৃথকভাবে স্বতন্ত্র নৌকায় । কে কোন পক্ষে আছেন তাহ! এখনও প্রকাশ পায় নাই। তবে এটা নিশ্চয় কথা একপ্রকার জানা কথা । মীরসাহেব যে পক্ষ অৱলম্বন করিবেন, সা গোলাম তাহার বিপরীত দিকে—বিপক্ষে নিশ্চয়ই থাকিবেন । মনে মুখ কাহারও নাই। অন্ত অন্য জমিদারগণেরও ঐ কথা ! মনে নানকথা । স্বার্থ, লোভ, স্বদেশ, প্রজ, নীলকব গুদাম, শ্ৰামৰ্চাদ, নীলহউজ, নীলের নৌকা, গুণ টানা ইত্যাদি । অন্য দিকে লাটদরবার ! যা থাকে কপালে ইত্যাদি নানা কথায় নানা চিস্তায় সকলেই চিন্তিত । মনে-সুখ কাহারও নাই । প্রজার মনেও সুখ নাই, নীলকরের মনেও সুখ নাই । সোনামুখী ইছামতীগর্ভে নানসাজে সজ্জিত হইয়া উচ্চ-মাস্কলে ব্রিটিস নিশান সদপে উড়াইয়া—শ্ৰীশ্ৰীমতী মহা 1াণীব জয় ! ঘোষণা, ইছামতীর শ্রোতের সহিত একত্র মিশিয়া করিতেছে । বর্ষাকাল । শহরের প্রায তিনদিকে ইছামতী পবিখকপেত স্বাভাবিক বক্রগতিতে পদ্মায় মিশিয়াছে । পবিসব বেশী নহে। এপাব-ওপাব, কথা । যাওয়াআসা করিতে পারে । কলগতিকে জলস্থল প্রায় সমান হইয়াছে। নদী কিনারের দালান, কোঠা, বড়রাস্তা, বড় বড় গাছ, তাহারপরেই বোট, বজরা, ডিঙ্গিনৌকা, জল, মাস্থলে নিশান । একট, দূরেই সোনামুখীব সেই মহামাস্থলের মস্তকোপবী বাজনিশান অতি গম্ভীবভাবে তুলিয়া দুলিয়া বঙ্গেশ্ববের শুভাগমন চিহ্ন বায়ুকে দেখাইয়া সৰ্ব্বত্র ঐ আগমন সংবাদ প্রচার জন্য নম্রতার সহিত অনুরোধ করিতেছে। সোনামুখীব পশ্চিম দিয়া চলতি নৌকা, স্রোতসহায়ে মহাবেগে ছুটিয়াছে। ইছামতীর পশ্চিম তীরে লোকের অবধি নাই। কত আসিতেছে, কত সারিবান্দিয়া, দাডাইয়া, জাহাজ, নৌকা, বজরা, বোট, নিশান দেখিতেছে । খেয়ানেীক ডোব ডোব হইয়া মাতুয পার করিতেছে । মফস্বলের দববার ! বিশেষ বর্ষাকাল । দরবারে সাজ-সজ্জা, বাহার, জাকজমক কিছুই নাই । বৃহৎ সামিয়ানার তলে শতাধিক আসন। তিনখানি বড়চৌকি একত্র করিয়া তাহার উপরে একখানি গদাবসান ভাল চেয়ার । তদুপরি জড়াও চাদওয়া । জিলায় হাকিমান, থানাদার, জামাদার, বরকন্দাজ, চৌকিদার