পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/২৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্ৰহ وفا واف جد স্কার করিয়া রাখা কৰ্ত্তব্য। ভাইসকল ! মনযোগ করিয়া শুনিতে খুক । লাটসাহেব বাহাদুর আমাদের দুঃখে দু:খিত হইয়া যে আদেশ করিয়া গিয়াছেন, তাহাই আমাদের করা কর্তব্য ও সকলেরই তাহা শিরোধার্য্য । কেনী জবরান করিয়া নীলবুনানি করিতে পরিবে না-রাজার আজ্ঞা, কিন্তু ভাবি অত্যাচার নিবারণের কোন নির্দিষ্ট উপায রাজ-আজ্ঞায় নাই । ঘটনা হইলে, প্রমাণ গ্রহণ—পরে বিচার । আমরা নীল বুনিতে, কি নীলজমিব চাষ করিতে, অথবা নীলকরের সঙ্গে কোনরূপ সংশ্রব রাখিতে ইচ্ছা করিব না। সেও ছাডিবে না। কেনী যথাসাধ্য বলপ্রকাশে আমাদিগকে নির্য্যাতন করিয়া তাহার জেদ বজায় রাখিতে, প্রচলিত প্রথা রক্ষা করিতে, নীলের আয় হইতে বঞ্চিত না হইতে, তাহাব গোচৰ্ম্মনিৰ্ম্মিত শ্ৰামৰ্চাদ সকলের মাথার উপর খুবইতে বিশেষ চেষ্টা কবিবে—প্রাণপণে চেষ্টা করিবে । জোর-জবরদস্তি, মীর-ধর, লুটপাট এখন যাহা আছে, তাহার চেযে দশগুণ বেশী করিবে । মিথ্যা মোকদমা সাজাইযা, মিথ্যা প্রমাণ জোটাইয়া ফাটকে আটক করিবার জন্যও বিশেষ যত্ন করিবে । যাতে হয়, যে উপায়ে আমবা তাহার পদানত হই, তাহা কবিতে আর এদিক-ওদিক তাকাইবে না। ধৰ্ম্ম-অধৰ্ম্ম, ন্যায-অন্যায় এসকলেব প্রতি লক্ষ্য থাকিবার তো কথাই নাই । আমরা নিজেরা নিজেকে বক্ষ করিতে পাবিব না। তবে এ অবস্থায় কি কবা কৰ্ত্তব্য ? পশুবাও নিজেরা নিজেকে বৃক্ষ করিতে সমর্থ—রক্ষা করিয়া থাকে। আমরা নিজেকে নিজে রক্ষা কবা দূরের কথা, একদল, একজাতি, একগ্রাম, একদেশ একত্র হইলেও রক্ষা করিতে পারে কিনা সন্দেহ । নিজেরা অশক্ত হইলে রাজদ্বার খেলে! আছে, তখন রাজার আশ্রয় লইব, দেশেব হাকিমের নিকট জানাইব— ‘বক্ষা কব’ বলিয়া গলবন্ত্রে তাহার সম্মুখে দাডাইব יין “নিজেরা নিজেকে রক্ষা করিতে না পারিলাম, কেনীর দুৰ্দ্দাস্ত প্রবলপ্রতাপ এবং বিষম আক্রমণ হইতে নিজেরা নিজেকে রক্ষা করিতে না পারিলাম, কিন্তু সকলে একজোট, একমন, একমত হইয়া থাকিলে বোধহয় কোন কোন বিষয় রক্ষা করিতে পারিব । যাহা না পারিব, পারিলাম না দেখিলাম—নিজেরা রক্ষা করিতে পারিলাম না, শেষ পক্ষে সৰ্ব্বরক্ষক হৰ্ত্তাকৰ্ত্তা বিচারকর্তা, রাজপ্রতিনিধি, রাজসংশ্রবী যাহাকে যেখানে পাইব, রক্ষা হেতু সবিনয়ে প্রার্থনা করিব।” “আমি দৃষ্টান্ত দিয়া বুঝাইতেছি—কুড়ি পচিশ জন কুঠির সর্দার লাঠিয়াল