পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/২৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Հ Գ e মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্ৰহ কাটিয়া পদ্মা, গৌরী, কালীগঙ্গা এই তিন নদীর জলে ভাসাইয়া দেওয়া যাউক । আমরাই বুনিয়াছি, আমরাই কাটিব, আমরাই জলে ভাসাইব । এতদিন আমরা চক্ষের জলে ভাসিয়াছি । কেনীর চক্ষের জল পডিবে কি না জানি না। পাকানীল জলে ভাসাইয়া অতি অল্প সময়ের জন্য আমরা গাত্রের জালাটুকু একটু ঠাণ্ড করি । প্রায় দশহাজার মুখে উচ্চারিত হইল, “ভাল কথা বেশ বলিয়াছেন, গাযের জালা একটু ঠাণ্ডা করি । প্রজাগণ তখনি উঠিল । ছাতি, লাঠি, গামছা লইয়। একে বলিতে দশজনে খাড়া হইল। দলে দলে সভাস্থল হইতে বাহির হইতে লাগিল—সভা ভঙ্গ হইল । সপ্তত্রিংশ তরঙ্গ বিপরীত যুদ্ধ মরণকালে বিপবীত যুদ্ধ । কেন}ব সুখস্বৰ্য্য অবসান হইতে আর বেশী বিলম্ব নাই। তবে সৌভাগ্য-শশীব চতুর্দশীব ভোগ উত্তীর্ণ হইবা প্রতিপদে, কৃষ্ণপক্ষেব প্রতিপদের ভোগ উপস্থিত হইয়াছে। বিপবীত বুদ্ধিতে বিপরীত বুঝিয়া মহাবিপদে পড়িপাব উপক্রম হইয়াছে। সারংকাল । কুঠিব সম্মুখস্থ কালীগঙ্গা তীবস্ত ফুলবাগান মধ্যে কেনী, গঙ্গা সম্মুখে করিয়া চেয়ারে বসিয়াছেন। হরনাথ, শস্তু এবং অন্ত অন্ত প্রধান আমলা, নীলকুঠির প্রধান প্রধান দেওয়ান, প্রধান প্রধান আমীন, প্রধান প্রধান খালাসী, তাগাদগীব সকলেই উপস্থিত। এখন কি হইবে ? কি উপায়ে নীলকার্য্য চলিবে, কুঠি চলিবে—কি শুধু জমিদারিই চলিবে, তাহারই মন্ত্রণ | পাবনাব ঘটনা, জোট তাহার পর সাওতার বৈঠক । সকল সময়েই র্তাহারা সাবধান থাকিয়া সন্ধান লইয়াছেন । বিশেষ করিয়া বোধহয় কিছু বাডইয়াই মনিবসাহেবের নিকট দেশের অবস্থা, প্রজাব ভাব জানাইয়াছেন। পাবনা গমনে প্রজাদিগকে বাধা দিতে গিয়া যাহা ঘটিয়াছিল, কার্যাকারকগণ তাহার অনেকাংশ গোপন করিলেও কেনীর কানে সম্পূর্ণ যাইতে বাকি ছিল না। গুপ্ত সন্ধানীর সমুদায় কথা গোপনে কেনীর নিকট প্রকাশ করিয়া দিয়াছে। কেনী বলিতে লাগিলেন—প্রজা ইচ্ছা করিয়া নীল-বুনানি না করিলে জবরানে বুনাইতে পরিবে না। এ কথায় আর নূতন কি আছে। কোন নীলকর প্রজার দ্বারা নীল-বুনানি করে । দাদন লইয়া চুক্তিপত্র দিয়া প্রজা নীল-বুনিতে