পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/২৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

及哈歌 মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্ৰহ ষে পরিমাণ নীলের এষ্টিমিট পাইয়াছি তাহাতে গত সন অপেক্ষ তুিমগুণ পরিমাণ বেশী নীল এই কুঠিতেই পাওয়া যাইৰে । অন্য অন্য কুঠির খবর এ-পর্য্যস্ত পাই নাই। এবারে বেশী পরিমাণ জমিতে নীল-বুনানি করা আমার ইচ্ছা । কোন আমলা কেনীর কথার প্রতিবাদে কোন কথা কহিতে সাহঙ্গী হুইল সং । হরনাথ মৃদু মৃদু স্বরে বলিতে লাগিল হুজুর । প্রজায় যদি আমাদের নীল-জমি আবাদ না করে তাহা হইলে নিজ-আবাদে কুঠির নির্দিষ্ট জমি আবাদ কবাই কঠিন হইয়া উঠিবে। কেনী রক্তঙ্গাখি তিনবার হরনাথের দিকে ঘুবাইয়া বলিতে লাগিলেন— কোন প্রজায় নীল বুনিবে না? নীল না বুনিয়া আমার এলাকায় বাস করিবে ? একটু সামলাইয়া কেনী মনে মনে কি ভাবিয়া হঠাৎ রাগ-একটু সামলাইয় বলিলেন— “আচ্ছা—প্রজারা আমার নীল বুনিবে না, আমিও তাঁহাদের সাহায্য লইব না। অথচ নীলের আবাদ বেশী করিয়া কবিব ! আমার দেশ, তোমাব মত নয় । এক প্রকার মূর্থের দেশ নয়। বিন গরুতে আমাব দেশে জমি আবাদ হয়। তুমি দেখ আমি বিলাত হইতে কলের লাঙ্গল আনিয়া জমি আবাদ কবিব। আর কি চাও।” হরনাথ মুদ্র মুক্ত হাসিয়া নতশিরে বলিলেন “তাহা হইলে আর আমাদের চিস্তু কি ৷” কেনী চেয়ার হইতে উঠিয়া ধীরে ধীরে বলিতে লাগিলেন চিন্তার মধ্যে একটি কথাই বেশী চিস্তার—আমি দেখিতেছি সেইটিই শক্ত কথা—কুঠির নিকট মহকুমা হওয়া না হওয়ার পক্ষে যতদূর পারি চেষ্টা করিব। পারিব এমন ভরসা নাই। এই বলিয়। ক্রমে নদীতীরে যাইতে আরম্ভ করিলেন । আমলাগণও মনিবের পশ্চাৎ, পশ্চাৎ মৃদুমন্দ গতিতে কালীগঙ্গার দিকে চলিলেন। জলের দিকে দৃষ্টি পড়িতে সকলের চক্ষেই পড়িল যে বোঝা বোঝা নীল-গঙ্গাত্রেীতে ভাসিয়া যাইতেছে । কেনী স্থিরভাবে দ গুীয়মান—নিরব ! স্থির দৃষ্টিতে চক্ষু জলস্রোতে—আমলীগণ মহাব্যস্ত। ব্যস্ততার সহিত কথা, কি সৰ্ব্বনাশ! একি কাগু ! এত নীল কোথ। হইতে ভাসিয়া আসিল ? কে ভাঙ্গাইল ? এক, দুই, তিন, চার, করিয়া গণনা কবির শেষে জার গণনায় ফুলাইল মা। নদীর জল ঢাকিয় খ গু খগু নীলক্ষেত