পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/২৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উদাসীন পথিকের মনের কথা ३११ হইয়াছে, ইহা মীবসাহেৰ স্বপ্নেও কখন চিন্তা করেন নাই। কোনদিন কোন কারণে ওকথা ভাবিবারও কোন কাৰণ উপস্থিত হয নাই। দৌলভননেসারও জানিবার কোন কারণ ঘটে নাই । তিনি অকত্রিম ভক্তির সহিত স্বামীর পদসেবা করিয়া জীৱন সার্থক মনে করিতেছেন। মীরসাহেব মনের সঙ্গে ভালবাসিয়া, মনে মনে মহালোঁতাগ্য জ্ঞান করিতেছেন। মাহুষের ভাল, মান্তবের উন্নতি, মাহুষের প্রেম, মানুষের চক্ষে দেখিতে পারে না। প্রণয়ভাব-বিশুদ্ধ প্রেমভাব, পবিত্র লক্ষণ প্রায় লোকেরই চক্ষুশূল । রূপসীত্বই যে, না হইৰে আশ্চর্যা কি ? তাঙ্গতে কপসী শিক্ষিত নহে, ধর্শ্বতাৰে আকুল নহে। মহাপাপে ভীত নহে -ইহকালই সাব । ইহকালই সকল । পরকাল পরের কথা । মবিলেষ্ট ফুরাইল । হিসাব-নিকাশের ধার কে ধারে । কেই ৰ৷ অদেখা ঈশ্ববকে ভয কবে । এষ্ট তে রূপসীর মত, ইহাতে আর আশ! কি ৷ বসীরুদিন সহচবাব খুব অল্পগত । চাকরেব মধ্যেও দুই একটি সহচরীর আজ্ঞাবহ । অথচ তাহাব দৌলতননেসাব বেতনভোগী, দৌলতননেসাব অন্নে প্রতিপালিত । লসীরুদিনের অম্লের সংস্থানও দৌলতননেসার অর্থে—তবে মীরসাহেবের হস্তে হইতেছে, এই মাত্র প্রভেদ । দৌলতননেসাব খাসদাসী, চারজন । তাহার একজনের নাম দুর্গ তী, দুর্গতীর মা তার নাম সবজা । দুর্গতী, ক্ররণ, তুরণ, চম্পা, এই চারজন সৰ্ব্বদা পবিষ্কার পরিচ্ছন্নভাবে তাহার সম্মুখে থাকিত ! ফায়করমাস ইত্যাদি কার্য্য করিত । দৌলতননেসা ইহাদিগকে অন্য অন্য দাসী অপেক্ষা ভালৰাসিতেন । বিশ্বাস ও করিতেন । ইহাবা চারজন বাডীর বাহির হইতে না । সৰজা বুদ্ধা, বাহিরে বাটির মধ্যে সকল সময সৰ্ব্বস্থানে সমানভাবে যাওয়া আসা কবিত। সৰজার সহিত রূপসীর খুৰ আলাপ | রূপসীর সহিত সবজার অনেক সময় দেখা হয়, গোপনে গোপনে কথাবার্তাও হইরা থাকে। এই সবজাই সহচরীর সাহায্যকারিণী ! উপস্থিত এই কথা ষে— টি. আই. কেনী. হস্তী পাঠাইয়া মীরসাহেবকে কুঠিতে লইয়া গিয়াছেন । প্রজাগণ নীল কাটিয়া জলে ভাসাইয়াছে । নীল আর বুনিবে না প্রতিজ্ঞা কবিয়াছে । এই সকল উপস্থিত ঘটনার স্বপরামর্শ জন্যই কেনী মীরসাহেবকে লইয়া গিয়াছেন । মীরসাহেব নীলকরের পক্ষ, লা গোলাম প্রজার পক্ষ । মীরসাহেৰ শালঘর মধুয়ার কুঠিতে গিয়াছেন। সন্ধ্যার পূৰ্ব্বেষ্ট আসিবার