পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/২৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উদাসীন পথিকের মমের কথা Չ Պծ কি আছেই ৰ৷ কি ? সকলি তোমাদিগকে দিয়াছি। কিন্তু আমিই কিছু পাই নাই ।” “কি পাও মাই—সকলি তো পাইয়াছ আর চাই কি ? অfর চাই ৰুি—“তোমার কি চক্ষু নাই ? অামার হাত একেৰাৱে খালি । হাতে কি কিছু আছে যাহা ছিল তাহাও গিয়াছে। এৰারে পারিব না। ফিরে ৰাট যাক ৷” তাঙ্গ রাখিয়া দিলেন, হাতের কাগজ পিঠের কাগজ একত্ৰ করিয়! মিশাইম্বা দিলেন । খেলাভঙ্গ হইল । অন্ত অন্য কথা চলিল । মীরসাহেবের আজ এত বিলম্ব হইল কেন ? ৰশীরুদিন বলিলেন—“সাহেবজবfর হ , বড়মা..সর চালচলন স্বতন্ত্র কথা । আমাদের মত উঠ বল্পেই কাঁধে-ৰোচক। তাতে নয় ? আবার আজকাল প্রজার যে জোচ, চাবদিকে গোলযোগ । সেই সকল কথাতেই ৰিলম্ব হয়েছে। হয়ত নাও আসিতে পাবেন’ । “ন। আসিতে পারেন, না আসিৰেন, তাতে আর সন্দেহ নাই। শুধু বসে থাকাও তো মহাদায় ! তুমি একটি গান গাও আমি আস্তে আস্তে সঙ্গত করি।” “বাবা সে আমার দ্বারা এখন হবে না। মীরসাহেব না আসলে বৈঠকথানীয় গানৰাজনা করে কার সাধ্য । এতেই সকলে চটা । বাড়িগুদ্ধ লোক আমাকে দেখতে পারে না, কেবল ৰিবিসাহেবের জন্যই রক্ষা । এমন মেয়ে হষ নাই। একালে কেউ এমন দেখে নাই। ৰাপরে বাপ ! তাবই সকল, তারই বাড়ী, তারই বৈঠকখানা, ভাৰ দেখি সে কেমন মেয়ে’ ? “ঠিক বলেছ ! এমন নিরাগী কখনও দেখি নাই। শুনিও লাই। আর স্বামীর প্রতি এত ভক্তি, এত ভালবাসা যে তা জাব মুখে প্রকাশ করা যায় না । এমনভাৰ কখনও দেখি নাই” । “সে কি আর বলতে ! আচ্ছা তুমি ৰস, আমি ৰাড়ি হতে একবার ঘুরে আসি—” রূপসী জার বাধা দিলেন না । তাহার ইচ্ছা যেন তিনি একা একাই বৈঠকথাকায় থাকেন । বসীরুদিন চলিয়া গেলে, রূপসী তাসগুলি কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করিয়া গোছাইয়া বাখিলেন । পরিষ্কার বিছানা । সে সময় কেরসিনতৈলের