পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/২৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উদাসীন পথিকের মনের কথা Հbr Ջ নাম সবজা । মুন্সী জেনাতুল্লার খরিদা । সৰজা যে সময় খরিদ হইয়াছিল, সে সময় উত্তরঅঞ্চলে দাসী বিকিকিনিতে দোষ ছিল না। লাডিরদাসী মাত্রেই ঐরুপ খরিদা। তাহাদের পেটে সস্তানসন্ততি হইয়াছে—সবজাব পেটের মেঘে দুর্গত । দৌলতননেসার চালিজন খাসপবিচারিকাব মধ্যে একজন দুর্গত : সবজার বডই চুরি করিয৷ খাওয়ার অভ্যাস। টাকপিয়সায় তত লোভ নাই । যতলোভ ইলিশমাছে । বাড়ি হইতেও পায, সময সময় নিজেও কিনে । আবার মেয়েকে দৌলতননেসার রান্নাব্যনজন ৪ চুরি করিতে সময় সময় বলে ! দুর্গত কিছুতেই স্বীকাব হয নাই। সেজন্য দুর্গতীর উপব ভাবিচটা । সবজাব বয়সী অার চাব পাঁচ জন দাসী ঐ বাডিতে আছে । তাহাদেব পেটের কোনমেযে দৌলতননেসার পরিচাবিকাব মধ্যে নাই । স1জার কন্য। দুর্গ তাই একজন খাসবাদী – তাহাতে সবজীর একটু আদব ও আছে । মেযেমহলে সকলে একটু ভয করে । ফবাসেব নিকট অনিষাই রূপসীবলিলেন, ‘ বস, এইখানে বস”— সবজা বলিল “—ন!, না আমি ৭খানে বসিব না। আপনার পায়ে ধরি, আমি ওখানে বসিব না । “তাতে দোষ কি ? আনি লে অব তোমার বিবি নয় ? যে একবিছানায় বসিলে দোষ আছে । আমি জানি মানুষ সকলেই সমান । সকলেই খোদাব তৈয়ারি ।” “ত হোক আপনি বসুন, আমি বসবে না। পেশীদেবী ও করিতে পারিব না। সেদিন কিরেকরে মাথায় হাতদিযে বলে গিযেছিলাম, তাহতেই অসিয়াছি।’ “এসেছ ভালই করেছ। তোমাব কথা তুমি বেখেছ, আমার কথাও আমি রাখি । অঞ্চল হইতে খুলিযা পাঁচটি টাক! আপ রূপার একছড়া গোট কপসী সবজাব হাতে দিয়ে পুনৰাম বলিলেন –আমার কবার আমি পূর্ণ করিলাম, এখন তোমার ধৰ্ম্ম, রাখা না বাখা তোমাব চছা ।” সবজার সঙ্গে আগেচ গড়াপেট পরামর্শ ছিল । সবজা টাকা পাচটা ও গলার জিঞ্জিরছড়া কাপড়ে বধিযা যাই ৰলিয়া বিদায় হইতেই, রূপসী সৰজার হাত ধরিয়া বলিলেন—“তুমি যাহা যাহা চাহিয়াছিলে, আমি তাহ। তাহ দিয়াছি ! আরও বলি–যদি পার, ষে কাজের জন্য দেওয়া, তা যদি করে উঠতে পার, তবে এর উপরে বকশিশ বলে অবশুই আরও কিছু অাছে। কি কৌশলে, কি উপায়ে খাওয়াইতে হইবে তাহা তো মনে আছে ?”