পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/২৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3 & c মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্ৰহ লাগিল । শ্বাসবৃদ্ধি হইল, চক্ষু বিবর্ণ হইল, তারার কালামাবেখা দেখিতে দেখিতে সরিয়া গেল । ঈশ্বরের নাম কবিতে লাগিলেন । দৌলতননেসা মুতুম্বরে ঈশ্বরের নাম কবিতে করিতে পুত্রদ্বয়েব মস্তক বক্ষে ধারণ করিয়া, জীবনের শেষ ভালবাসিয়া জগৎ হইতে চলিয়া গেলেন । প্রাণবায়ু কোন পথে কোথায চলিয়া গেল কেহই কিছু জানিতে পারিল না। সকলেই দেখিল চক্ষেবপাতা বন্ধ হইযt:ছ ! শ্বাস-প্রশ্বাস আর নাই । ঠোট দুইখানি যে নডিতেছিল, তাহা ও আব নাই। দৌলতননেসা নাই—ম্পন্দহীনদেই শয্যাস পডিস আছে । ঘবেবলোক মাথা ভাঙ্গিয়া কান্দিতে কান্দিতে ঘবেব বাহিব হইলেন । বাডিমঘ ক্ৰন্দনেল-রোল উঠিযা গেল । যে যেখানে ছিল সেখানেই গড়াগডি পাডিয়া মাথায শত করাঘাত করিযা কান্দিতে লাগিল । পুরজনেরা তখনি সৎকারের ব্যবস্থা করিলেন । মীবসাহেবের অভিমতে তাহাব পিতার সমাধিস্থানের নিকট দৌলতননেসার সমাধিস্থান নির্ণয় হইল । তাহাতে স! গোলাম কোন আপত্তি করিলেন না । সাওতাব বাড়িঘর, জমিদারি, সে সময সকলি সা গোলামের । মীরসাহেবের কোন স্বত্ব নাই । কিন্তু দৌলতননেসারের সমাধি সাওতায় হইতে সা গোলাম কোন আপত্তি কবিলেন না । এতদিনেব পর রূপসীর মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হইল। রূপসীর প্রসঙ্গ পথিক এ কলমে আর আনিবেন না—এইখানেই ইতি কবিল। তবে তাহার পবিণামফল, পরিণামফলের সহিত জগৎকে দেখাইতে ইচ্ছা বহিল। এক চতুৰ্যশ তরঙ্গ इ*TTडद्भ এই পরিশূন্য ঘূর্ণায়মান জগতে রূপান্তর আশ্চর্ষ্য নহে। যে কাঞ্চনশূঙ্গ নীলাকাশ ভেদ করিয়া উর্ধ্বে উঠিছে, হয়ত কালের প্রবাহে চুৰ্ণবিচূর্ণ সমতলক্ষেত্রে পরিণত হইতে পারে। মহাসিন্ধুও কালচক্রে পরিশুষ্ক হইয়া বালুকাময় মরুভূমি হইয়া মরীচিকারূপে পথিকের ভ্রম জন্মাইতে পারে। যে স্থানে অতলস্পর্শ বলিয়া প্রবাদ, হয়ত সেই স্থান হইতে ভূধরের অতি উচ্চশিখর দেখা দিয়া জলধির জলরাশি সরাইয়া স্বিয়মস্তক উন্নত করিতে পারে। মহানগরী কলিকাতাও কালের করালগ্রাসে পড়িয়া মহাশৰ্ম্মান ক্ষেত্ররূপে দেখা দিতে পারে। নিয়তির