পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/৩০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Հ Չ মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্ৰহ যমষাতনা, আর কোথায় সমন ওয়ারেন্টে তলবের তাড়না । কোথায় নিজেই হৰ্ত্তকৰ্ত্ত। —বিধাতা, রাখা, মারা আপনহাত, আর কোথায় করজোড়ৈ বিচারপ্রার্থী হইয়া, সেই অধীনস্থ প্রজার সহিত সমশ্রেণীভাবে বাঙ্গালী বিচারকের নিকট দগুীয়মান । কুঠির সীমায় পা রাখিতে যাহাদের প্রাণ কঁপিয়াছে, এক্ষণ বাজবিচারগুছে সেই স্যামচাদ আঘাতি প্রজাগণ উচিত কথা কহিতে একটুকুও ক্রটি করিতেছে না । তিনি জমিদার, তিনি নীলকর, তিনি ইংরেজ, একথা বলিয একটুকুও খাতির করিতেছে না। বিশ্বাসের পাত্ৰ সকলেই সমান । যে কথায় সামান্ত কুলীমজুবকে রাজসমক্ষে শপথ করিতে হয়, মে. টি. আই. কেনাকে ও তাঁহাই করিতে হয়। রাজদ্বাবে সকলেই সমান ! আবার প্রজার ভাবটা ও একবার ভাবিয়া দেখুন—দেখুন কি চমৎকাব দৃশ্ব ! কি চমৎকার পবিবর্তন ' বাকি খাজনার মোকদ্দমা ব্যতীত, প্রজী শাসন, প্রজা সোজাকবার বাবদে বে সকল মোকদম কেনীরপক্ষ হইতে উপস্থিত হইতে লাগিল, প্রায়ই ডিসমিস। বিcবভ্রমে, কি বিভ্রাট । যে যে মোকদ্দমায় প্রজাগণ শাস্তি পাইল, আপীলআদালতে পবিপক্ক বিচাবকের নিরপেক্ষ বিচাবে নীলকরের চক্র ছাপা বহিল না। মোকদমাও টিকিল না। আসামীগণ বেকসুর খালাস পাইতে লাগিল । এদিকে কলেব লাঙ্গল বিলাত হইতে আসিয়া পডিল। নীলমাই জন্য মালহউজেও বিলাতী কলকৌশল বসান হইল। নীলজমি চাষ, নীলকৰ্ত্তন, নীলমই ইত্যাদি সমুদায় কলের কৌশলে, ইনজিনের বলে সম্পন্ন হইবে, প্রজাব সাহায্য কিছুতেই লওয়া হইবে না । ইহাই কেনীর আস্তরিক সঙ্কল্প। করিলেনও তাহাই । কিন্তু তাহাতে আরও বিপরীত ফল ফলিতে লাগিল। নীলবিদ্রোহীর প্রধান পা গু সা গোলাম । কলের লাঙ্গল প্রথম চালাইবার দিন কেনী সকলকে ডাকিয়া বলিলেন যে, তোমরা জান, আমি এই লাঙ্গলের নাম সা গোলাম রাখিলাম । গায়ের জালায়, মনের ক্ষোভে, যাহাঁই বলুন, কিন্তু কলের লাঙ্গলে ভালরূপ চাষ হইল না। সে লাঙ্গলে দুই এক বিঘা জমি চাষ করা যায় না । এক স্থানে এক শত দুই শত বিঘা সমতল এবং সমশ্রেণীর জমি হইলে চাষ হয় বটে, কিন্তু দেশীয় লাঙ্গল অপেক্ষ অধিক পরিমাণে জমি কাটিয়া নীলবুনানির উপযুক্ত করিতে বড়ই নাজেহাল হইতে হইল । কলে চিল ভাঙ্গা হয় না, মই দেওয়া যায় না । মাত্র । জমি কাটিয়া মাটি উন্টাইয়া দেয়। চিল ভাঙ্গিতে, মাটিবুনানির উপযুক্ত করিতে