পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/৩০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উদাসীন পথিকের মনের কথা 令》心 দেশীয় লাঙ্গলেব বিশেষ আবশ্যক হইল। তখন বাধ্য হইয়া গরু, মহিষ, ক্রয় করিলেন । লাঙ্গল, জোয়াল, বিদে, কাস্তে, কোদালী চাষকার্য্যের যাবতীয় সরঞ্জাম কেনীকে প্রস্তুত করিতে হইল। এবং ভিন্ন ভিন্ন দেশ ষ্টতে বুন, বাগদী আনাইয়া মাসিক বেতন ধার্য্যে ঐ সকল কাৰ্য্য কবিতে লাগিলেন । গুদাম ঘবে এখন আর কয়েদী থাকে না, আমলাগণের বাসা হইয়াছে । মাব-ধর, ধর-পাকড়—এসকল নামও আর শুনা যায় না। যাহা কিছু সকলি আদালতে । প্ৰজাকর্তৃক অন্যাস-অত্যাচাবেব বিsiবসমুদায়ই রাজদ্বারে। কিস্তি কিস্তি প্রজাব নামে খাজনার নালিশ । এক আনা, দুই অনি। খাজনার দাবিতেও প্রজার নামে নালিশ হইয়াছে। অবশ্যই ডিক্রিও হইতেছে। কিন্তু খাজনা আদায়ের চেষ্ট হইতেছে না। কেনীর ইচ্ছা যে, কিস্তি কিস্তি নালিশ করিয়া খরচ ইত্যাদিতে প্রজাকে নাজেহাল করা। পবে একত্রে ডিক্রি-জারির টাকা আদায় করিতে বসিবেন । প্রজ! মোকদ্দমায় অযথা অর্থব্যয় করিয়া জেরবার হইবে । সেসময় আসল ডিক্রির টাকা দিতে অপবগ হওয়াবই কথা । দায় ঠেকিয়া বিশেষ বাধ্য হইয় তাহাব আহুগত্য স্বীকাব করিবে । যেমন নূতন মহকুমার স্বাক্ট, তেমনি মোকদ্দমার সংখ্যাও দিন দিন বৃদ্ধি । মহকুমায়, জিলায় কেনীর মোকদ্দমার অস্ত নাই । খরচেরও অস্ত নাই । কিন্তু আয়ের অঙ্ক একেবারেই শূন্য । ইতিপূৰ্ব্বে নীল-বীজসহিত ছোল-বুলানি হইত, ছোলা উঠিয়া যাইত নীল বাডিতে থাকিত। বৎসব সালের ঘোড়া, গরুর দান। সেই উপবিলাভেই চলিত, এক্ষণ ঘোডার দান, চাকরের মাহিয়ান, মামলামোকদ্দমাব খরচ সমুদায় মজুদ তহবিল হইতে খরচ হইতে লাগিল। বিশেষ সত্যমিথ্যা মোকদম সাজাইয়া উপস্থিত করিতে ন্তাষ্য ব্যয়ে কখনি পার পায় না । অনেক স্থানে অপব্যয়ে হস্ত প্রসারণ করিতে হয় । থানাদার, জমাদারকে বসে রাখিতে হইলেও ছালায় ছালায় টাকা ঢালিতে হয় । উপস্থিত পরিবর্তনে কেনীর অর্থের শ্রাদ্ধ হইতে লাগিল। কলকারখানায় জমিচাষ ইত্যাদি কার্য্যেও অনেক অর্থ জলে গিয়াছে, লাঙ্গল, গরু, মহিষ করিতেও দশ বার হাজাব নামিয়াছে, কিন্তু অত গরুর আহার কোথা হইতে জোগাইবেন । সহজ কথা নহে। ক্রমে অনাহারে অযত্বে গরুগুলি মারা পড়িতে আরম্ভ করিল। কেনীর রোক কিছুতেই । পড়ে না। দশ গরু মারা পড়িল, বিশ গরু খরিদ হইয়া আসিল । দেশওয়ালী,