পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/৩০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ミ38 মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্ৰহ পাডে, দেবে অনেক বাখিতে হইয়াছে, আমলা, মোক্তার, উকীল, তদবিরকারক, মিথ্য সাক্ষ্য দিবার জন্য চাকর, নানা স্থানে রাখিতে হইয়াছে। কেনৗব সংসারে পূর্বাপেক্ষ নিয়মিত ব্যযবৃদ্ধি হইয়া দশ গুণেব উপর উঠিয়াছে। ইহার পর খাজানা-আদাস বন্ধ । নীলকার্যো লাভ কিছুই নাই । বায়চতুগুণ। অধঃপতনের পূৰ্ব্ব লক্ষণ । দ্বাচতুৰ্দশ তরঙ্গ শেষ আক কাহাব কপালে কে খায় ? ঈশ্বব ললাটফলকে যাহা লিপিবদ্ধ করিয়াছেন, তাহাই সৰ্ব্বতোভাবে ফলিযা থাকে । বিশ্বাসীমাত্রেবর্ত এই বিশ্বাস । কিন্তু এক দৌলতননেসাব অভাবে সে পুরী ক্রমে জনশন্ত হইযা উঠিল। দাসদাসীগণ কিছুদিন থাকিয়া, আপন আপন পথ দেখিতে লাগিল। খাওযাপবাব কষ্ট না হইলেও নানা কারণে বাড়ি ছাডিতে বাধ্য হইল । কারণ কু-কথা কয়দিন গোপন থাকে, কানাযু্যায় কথাটা একপ্রকাব ফাখেরাখাতুনের কানে গিয়া পডিল যে, এইসকল দাসীবাদীই কৌশল করিয! কি ঔষধ খাওয়াইয়া দৌল তননেসাঁকে মারিয়া ফেলিয়াছে । কে সেই ঔষধ খাওযাইয়াছে, কি স্বার্থে এমন নেমকহারামী করিয়াছে তাহাব কোন সন্ধান হইল না । কিন্তু ফাখেরাখাতুনের অন্তর হইতে দাসদাসীগণ একেবারে সবিযা গেল । মনিবেব আদর, যত্ন , ভালবাসা ন! পাঠলে কয়দিন অধীনস্থ তাবেদাব টিকিতে পারে ? তিনি কাহাকেও কিছু বলিলেণ ন, অথচ ক্রমে অনেকে যাইতে আরম্ভ কবিল ? সৰ্ব্বপ্রথম সবজা তাহার কন্যা দুৰ্গতিকে লইয়া বাডি ছাড়িয়া চলিয়া গেল । দেখাদেখি পব পর অনেকেই মাইতে আরম্ভ করিল। তিনি কাহাকে যাইতে নিষেধ কবিলেন না, বা বাখিতে যত্নও করিলেন না। যে চলিরা গেল কোনদিন তাহার সন্ধানও লইলেন না । দৌলতননেসা চারটি পুত্র রাখিযা ইহলোক পবিত্যাগ কবিয়াছেন। মীরসাহেবও গ্ৰীশূন্ত শ্বশুরালয়ে সৰ্ব্বদা বাস করিতে অব ইচ্ছা করিলেন না। র্তাহার পূৰ্ব্বপুরুষের আদি-বসতিস্থান পদমদী গ্রামে বাসকবাই মনন করিলেন । পুত্ৰগণ মাতামহীর নিকটেই থাকিবে । মাঝে মাঝে এখানেও আসিবেন, সে বাড়িতেও থাকিবেন । সংসারে সুখ নাই—জীবন শেষ না হওয়া পর্যন্ত সাংসারিক কাৰ্য্যরও ইতি নাই । প্রধান শক্ৰ সা গোলাম। অধিকন্তু নীলকর পক্ষে থাকায় দেশের লোকেৰ চক্ষেও