পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/৩০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

aなb- মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্ৰহ স্ফোটক হইয়াছিল, কলিকাতা হইতে ভালমত আবাম হইয়া আসিয়াছিলেন। হঠাৎ সেই স্থান হইতে রক্তপাত হইল। শেষে দেখা গেল যে, সংযোগস্থানের-জোড়া খসিয়া গিয়াছে । যেস্থানে ঘা শুকাইয়া, জোড়া লাগিয উপরেব চামড়া পর্ষ্যস্ত হইয়াছিল, সেই স্থান ফাটিয। গিযছে। বক্ত পডিতেছে । কেনী তখনি কলি কাতা যাইতে প্রস্তুত হইলেন । যত শীঘ্র শীঘ্ৰ পারিলেন কলিকাতা রওয়ান হইলেন । কুষ্টিয়া মহকুমা স্থাপনের পর—বেল ওয়ে লাইন খুলিয়াছে। কলিকাতা য়াওয়া-আসা যতদূর সহজ হইতে হয হইয়াছে । কোনরূপ খেজালত নাই । কেনী বেলওযেযোগে প্রভাত হঠতে না হইতে কলিকাতা পহুছিলেন । সঙ্গে মিসেস কেনী আর সোনাউল থ নসাম । BBB BBBB KBBB B BBBS BB BBBBBB SBBBBSBBBB কলিকতাব সেচ প্রধান দাতব্য চিকিৎস লগে স্থান লঙ্গলেন । কতদিন পরে কুষ্টিম অঞ্চলে একটি কথা প্রকাশ হ’ল ! সকলেরই শুন৷ কথা, নির্দিষ্ট খবর কেহই বলিতে পাবে না । মুখে মুখে কথাটা এতদূর ছড়াইয়৷ পড়িল যে, কুষ্টিসা অঞ্চলে সকলেব মুখেই সেই কথা । “কেনী নট” । দাতব্য চিকিৎসালয়ে কেনীর জীবনপ্রদীপ ইহজীবনের মত নিৰ্বাণ হইয। গিয়াছে । আশাভরসা, শত্রুদমন, পুনরায় নীলকার্যের প্রচলন, প্রজাশাসন ইত্যাদির সমুদায় কার্য্য পড়িয়া বুহিল । মনের আশা মনেই বাখিযা গেল ; কেনীর সংস্রবে যতপ্রকার মোকদম বিচারালয়ে উপস্থিত ছিল সমুদায় মূলতবী হইল। কয়েকদিন পরে নীট খবর পাওয়া গেল যে, “কেনী যাথার্থক্ট নাই ।” মবণেব কিছু পূর্বে একখানি উইলপত্র লিখিয়া সমুদায় সম্পত্তি রিসিভাবেব জিস্ব কবিয়। গিযাছেন । দেন৷ পাচলক্ষ টাকা । সম্পত্তি বিক্রয় করিয়া পাওনাদবগণ টাকা পাইবেন । দেশের লোক যেন মহাকালের হস্ত হইতে উদ্ধার পাইল । মাথার উপর হইতে ভাবি একটা বোঝা সরিয়া গেল । সকলের শরীবষ্ট যেন পাতলা পাতলা বোধ হইতে লাগিল । কেনীর দৌরাত্ম্য, কেনীর অত্যাচাব, কেনীব কথা মনে হইলে সত্য সত্যই চঞ্চল । কিন্তু কিছুদিন কাহারও বিশ্বাসই হইল না যে কেনী ইহসংসার ছাড়িয়া গিয়াছে। হিংসা, দ্বেষ, ক্রোধ, মায়ামমতা, আশা-ভরসাব হাত হইতে ছুটিয়া শাস্তিধামের অধিবাসী হইবে । খবর নিশ্চয় আদালতের ঘর প্যর্ষস্ত খবর, পাকা খবর কেনীর ষ্টেটের কায্যকৰ্ম-সমুদায় হাইকোর্টের অর্ডার অনুসারে বন্ধ । তত্ৰাচ বিশ্বাস নাই ।