পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२२ মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্ৰহ বানরী হইয়া রহিল ? সন্ন্যাসী অবিলম্বে উত্তর করিলেন, রাজন্‌! তোমার কম্ভার গুরুতর পাপ ; তাহাকে মুক্ত করা আমার সাধ্য নয়। রাজা তখন সজলনয়নে বলিলেন, যদি কুমারীটি বানরী রহিল, তবে আমার জীবনে কি ফল? রাজ্যেই ল। প্রয়োজন কি ? এবং এসকল পরিবারই বা থাকিয়া কি করিবে ? আমার আর তিলাৰ্দ্ধ বাচিবার সাধ নাই। এই প্রকার নিৰ্ব্বেদ প্রকাশ করিয়া রাজা পুনৰ্ব্বার সন্ন্যাসীর পদানত হইয়া নেত্রনীরে তাহার পদবুজ: ধৌত করিতে লাগিলেন । কহিলেন, গুরুদেব ! আপনি আমারে এই দুস্তর বিপদপারাবার হইতে নিস্তার না করিলে আর কে রক্ষা করিবে ? আমি আপনারে এই সমস্ত রাজ্য ও ঐশ্বৰ্য্য দান করিতেছি, বৃত্ববতী রত্নটিও আপনারে দান করিব । কেবল তাহার পূর্ব রূপটি দর্শন করা আমাক ইচ্ছা । সন্ন্যাসী কহিলেন, মহারাজ ! তোমার যদি সেই ইচ্ছাই হয়, তবে ষথার্থই আমাবে অৰ্দ্ধরাজ্য যৌতুক দিয়া বত্ববতী দান করিতে হইবে । রাজা যে আজ্ঞা বলিয়। তৎক্ষণাৎ অঙ্গীকারপত্র লিথিয়া দিলেন । সন্ন্যাসী কয়েকটি রুত্রিম মগ্ন পাঠ করিয়া পাত্রস্তু বাবি প্রক্ষেপপূৰ্ব্বক বানরী বাজকুমারীকে মানবী করিলেন । রাজ ও রাজপুরীস্থ সকলে তাহার এই অলৌকিক ক্ষমতা দর্শন করিযী যুগপৎ আনন্দ ও বিস্ময়ে নিমগ্ন হইলেন । বাজপুরী আনন্দময় হইল। রাজা বাস্থপ্রসারণপূৰ্ব্বক তনয়াকে ক্রোড়ে লইয়। আনন্দীশ্রীধারে তঁহিীর সর্বশরীর সিক্ত করিতে লাগিলেন। বৃত্ববতী পূর্ববৃত্তাস্ত কিছুই জানেন না, অথচ অন্তঃপুর লোকাকীর্ণ দেখিয়৷ নানা প্রকার চিন্তা করিতে করিতে পিতৃক্রোডে মস্তক নত করিলেন। রাজা অঙ্গুলিদ্বারা কন্যার চিবুক উত্তোলন করিয়া কহিলেন, বৎসে ! পুনৰ্ব্বার তোমারে ক্রোড়ে লইব এ অশ ছিল না। পরমেশ্বরের কৃপায়, আর এই যোগীবরের প্রসাদে অণ্ঠ হারানিধি প্রাপ্ত হইলাম, এই কথা বলিয়া সন্ন্যাসীর দিকে অঙ্গুলিনির্দেশ করিলেন। রত্নবর্তী এই কথা শুনিয়া সেই ভুবনমোহন কটাক্ষ সন্ন্যাসীর দিকে একবার ফিরাইলেন । ছদ্ম ধৌগিরূপী স্বমস্ত রাজকন্যার রূপমাধুরী দর্শন করিয়া নিস্তব্ধ হইয়া, রছিলেন । ভাবিলেম, পরমেশ্বর এই সুবর্ণলতাটি কোন ভাগ্যবান তরুর আভরণ করিনার অভিপ্ৰায়ে স্বজন করিয়াছেন? প্ৰিয়বন্ধু হুকুমারের অদৃষ্ট কি স্বপ্রসন্ন, এই সৌন্দৰ্য্য-সরোবের পদ্মফুলটি আজ তাহার হৃদয়-সরোবরে শোভা সম্পাদন কবিৰে । - এইরুপ চিন্ঠ কবি সন্ধাশী রাজাকে কছিলেন, মহাৰাজ ! আমি বিষয়ত্যাগী ধোগী, গৃহী হইতে আমার অভিলাষ নাই। তুমি জলকার কবিয়ছি, অংেক