পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/৩২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

రి: రి মীব মশাররফ হোসেম বচনাসংগ্ৰহ দেখতে বড় স্বন্দরী, এলোচুলে বসে সখীদের সঙ্গে কথা বলছিলেন, চুলগুলি পিঠেব উপর দে পড়ে মাটিতে গড়াগডি যাচ্ছে, সে দিকে তাকাচ্ছেনও না। নাক, কান আব সেই জোড়াভুরুতে মুখখানি চতুর্দশীর টাদের মত দবদব কবছে। ঠিক ভুকর মাঝখানে একটি ছোট টপ কেটেছেন থেকে থেকে চাদের আলো ফুটে সেইটি যেন তারার ন্যায় টপটপ করছে । চক্ষের ভাবভঙ্গি আর থেকে থেকে মুচকে মুচকে হাসি দেখে আমি একেবারে অজ্ঞান হয়েছি । ঠোট দুখানি জবাফুলের মত লাল, দাতগুলি বড় পরি পাটি, কথাও বড় মিষ্টি বয়স অতি অল্প,—এখনও ১োদ পেরোয়নি। রাজার সঙ্গে ছাইও মানায় নি। যদি যুবরাজেব সঙ্গে এই বিবাহটি হতো, তা হলে মুখের সীমা থাকতে না । যেমন বর, ঠিক তেমনি কনে মিলে যেতো। সরমা—-ছি ছি ! রাজাকে বিয়ে করতে কে পরামর্শ দিয়েছিল ? বিমলা-রাজাব সঙ্গে সঙ্গে যে একটা পাগলা গোছের বামুন থাকে, সেই নাকি এর ঘটক । সরম।—তার কি ? সে পেটপুরে খেতে পেলেষ্ট বড় খুশী । বাজার তো চোখ ছিল ? ৰিমলা-চোখ থাকলে কি হবে ? মন যে এখনও হামাগুড়ি দেয় ; ত তো আগেই বলেছি। সরমা-দিদি ! রাজার বিয়ে করতে যদি এত সাধই হয়েছিল, কিছুদিন খুঁজে একটি বড়মেয়ে দেখে কেন বিযে কললেন না ? এ বিয়ে তার মনস্তাপের কারণ হবে । বুড়ো বয়সে আমন মেয়েকে বশে রাখা বড় ছোটকথা নয় । শত শত জায়গায় দেখতে পাচ্ছি, বয়সের মিল না হলে কোনকালেই মনের মিল হয় না। তুমি দেখো! রাজ। আমাদের নতুন বৌয়ের মন যোগাতে যোগাতে একেবাবে নাজেহাল হবেন । তবুও তার মন উঠবে না। রাজাই হন, আর প্রজাই হন, যুবতী নারী ঘরে পুরে মুখফুটে বলতে পারবেন না যে, আমার স্ত্রী আমাকে বড় ভালবাসে। যিনি একথা বলেন, তিনি পাশল । - বিমলা—সত্যি কথা, বুড়ো বয়সে কখনই সোমত্ত মেয়ের ভালবাসা পাওয়া যায় না। বুড়োরা কত করে মন যোগায়, তাতে কি সে ভোলে ? শুধু কথায় কি হয়! পোড়া কপাল ! কথা বলতেও থুথু পড়ে। “