পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/৩৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Վ)Հ8 মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্ৰহ রেবতী— দৃপণ ফেলিয়া ) রাজা আমায় দেখে একেবাবে ভুলে গেছেন, কিন্তু আমায় ভুলাতে পারেন নি। তিনি আমায় না দেখে এক নিমিষ স্থির থাকতে পাবেন না, কিন্তু আমার তা নয়, সে মুখ নজবে পড়লেই যেন গাযে কেটার-বাড়ি পড়ে । মন ধারে ভালবাসে না, চোখ লেবে ভালবাসবে কেন ? এ লে আমারি চোখ । মালতী—এদিকে তো বড় মিল দেখা যায় । রেবতী—তুষ্ট যেমন মিল দেখতে পাস, কিসেব মিল ? তেসে ঃে সে দুটে। মইকথা বলি, তাতেই কি মিল হলো ? মুখে মিল থাকলে কি হয, মনে যে মেলে না | তী – মিল করতে কতক্ষণ লাগে ? কললেই পাবে ? বেবতী -পোড কপালি ! তুষ্ট কিছুই বুঝিস নে, মিল কি কথায় হয় ? মনে মনে মিললেই তবে মিল হয় । বলতে হাসি ও আসে, কান্ন ও পায, তার সঙ্গে আমার মনের মিল কেন হবে ? তাব যৌবন-অবস্থা মধ্যম-অবস্থা গিয়ে এখন শেষ অবস্থারও শেষে ঠেকেছে ; আমার অবস্থ, তো দেখতেই পাচ্চ । এতে মনের মিল হবে কেন ? আমিই বা তাকে ভালবাসবে কেন ? মণিমুক্ত আর ভাল ভাল গয়না, ভাল ভাল কাপড় দিলেই যে ভালবাসা হয়, তা নয, ভালবাসার অঙ্গ অনেক । তবে মা বাপে জোল করে ধরে রাজরাণী করে দিয়েছেন, ভেবেছেন আমি সুখী হলে তাবা স্বখে থাকবেন, তারা ভাগ্যবস্ত হবেন, রাজার কুটুম্ব বলে সমাজে আদর পাবেন, বাবা মহারাজের শ্বশুর, নিজ-ক্ষমতাতেই উচ্চাসনে বসে চারপাশে নজর করবেন, মনে ভাববেন যে, সকলেই আমাকে নজর করে । মা তো একেবারে আহলাদে অটিখানা হয়েছেন, বাজার শাশুড়ী হয়েছি, আর ভাবনা কি ? সকলেই সুখের ভাগী হলেন, হতভাগিনীই কেবল চিবদুঃখিনী হলো ! (দীর্ঘনিঃশ্বাস ত্যাগ করিয়া) মালতী ! আমি যে যাতন ভোগ করছি, তা সেই ভগবানই জানেন ? অদৃষ্টে বিধাতা যাহা লিখেছিলেন তাই হয়েছে, তা বলে আর দুঃখ কললে কি হবে ? মালতী—রাজমহিষী ! অার দুঃখ করে। না ! কেবল আপনারই যে ওরকম