পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/৩৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ৰসস্তকুমারী নাটক උළුණු বেৰতী—চুপ কর, ও কোন কাজের কথা নয়, তুই দেখিস ! যদি নরেন্দ্রকুমার ভোজপুরে যান, তবে সে বসন্তকুমারীর ক্ষমতা কি যে, নরেন্দ্রকে ফেলে অন্য পুরুষের গলায় মাল পরাতে পারে, ওলো ! তুই দেখিস, দেখিস ! যুঞ্জি নরেন্দ্রকুমার ভোজপুরে যায়, ( দীর্ঘ নিশ্বাস ত্যাগ করিয়া ) হা! আমি ধৰ্ম্মের দিকে ফিরেও চাইলেম না ? লজ্জার মাথা খেয়ে সতীত্বকে বিসর্জন দিয়ে, কলঙ্কভার মাথায় বহন করতে হবে, লোকের গঞ্জন সইতে হবে, অধৰ্ম্মে নরকে পুড়তে হবে। এ সকল ভেবেও রাজকুমারের প্রতি মন সমর্পণ করলেম, কিন্তু তিনি আমার পানে একবারও চাইলেন না । আমার সমুখে যতক্ষণ ছিলেন, আমি একবারও চক্ষের পলক উলটাতে পারিনি, কিন্তু তিনি তো মুখ তুলেও চাইলেন না । ধিক আমার জীবনে। যদি এই রমণী ( পটের প্রতি নির্দেশ করিয়া ) তার প্রণয়িনী হয়, তাহলে আমার আশা পূর্ণ কব। দূরে থাক ফিরেও চাইবেন না। দিনাস্তে কি মাসান্তে আমার কথা মনে আর করবেন না । হা ! সকল আশাই নিরাশ হল । মালতী ! এর উপায় ? আমি তো আব বঁচিনা। মালতী—উপায় আiণ কি ? একেবারে ক্ষাস্ত দেওয়াই উপায়। কেন দুদিনের তরে গঞ্জনার ভাগিনী, পাপের ভাগিনী, কলঙ্কের ভাগিনী হতে চান ; মলেও যে এ কলঙ্ক যাবে, তা মনে করেন, বেহ্মা গু যতদিন থাকবে, ততদিন এ কলঙ্ক যাবার নয় । রেবতী—তুষ্ট যা বলিস, প্রাণ কেনমতে ধৈৰ্য্য মানে না। ভাগ্যে যাই থাক, যুবরাজকে পত্র লিখে মনের ভাব জনাব, এতে বিধি কপালে যা ঘটান, তাই স্বীকার—ভয় কি ? একদিন তো মবতেই হবে, তাতে আর এত ভয় কি ? মালতী—কি বলে পত্র লিখবে ? রেবতী— যা মনে হয়, তাই লিখবো। তুই শীঘ্র আমার লিখনের উপকরণ নিয়ে আয় । ( মালতীর প্রস্থান এবং কিঞ্চিৎ পরে লিখনের সমস্ত উপকরণ লইয়া উপস্থিতি ) মালতী—এই নিন। ( রেবতী পত্র লিখিতে আরম্ভ ) রেবতী—(স্বগত) কি লিখি ? (কালি লইয়া লেখনী কাগজে স্পর্শ ) যা মনে হয়েছে, তাই লিখি । ( লেখনী দন্তে স্পর্শ করিয়া চিস্তা) লিখবই, ૨૨