পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/৩৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

もうーケ মীর মশাররফ হোসেন বচনাসংগ্ৰহ অদৃষ্ঠে যা থাকে তাই হবে, ( লিখিতে আরম্ভ –তিন-চরছত্র লিখিয়া কাগজদ্বিখগু করে মুচডে নিক্ষেপ এবং পুনরায় লিখিতে আরম্ভ ) মালতী—( হেঁচে বাধা দিল ) রেবতী—দূর হতভাগী ! সব নষ্ট করলি। বাধা মানাই চাই । ( কিঞ্চিৎ পরে লিখিতে আরম্ভ, দুই-তিনছত্র লিখিতেই লেখনী ভাঙ্গিয়া গেল, লেখনীর প্রতি দৃষ্টি করিয়া ) তুই আজ ভেঙ্গে গেলি ? ( সক্রোধে লেখনী দুই খণ্ড কবিয়া নিক্ষেপ ) আর লিখব না, এত বাধা পড়ছে আব লিখব না। দণ্ডায়মান ) মালতী ! এ সব কাগজপত্র নিয়ে যা, আজ আর লিখব না। কি জানি— মালতী—( লিখনের উপকরণ লহতে অগ্রসর ) রেবতী—বাখ ! রাখ ! (উপবেশন, পুনরায় কাগজ লইয়া লিখিতে আরম্ভ, ক্ষন কাল পরে পত্ৰলেখা শেষ হইল ) দেখি কোন পথে । মালতী—কি লিখলেন, আমায একটু শুনান । রেবতী—শুনবি ! তবে শোন । ( পত্র পাঠারম্ভ ) যুবরাজ ! চিনিতে কি পরিবে আমায় । যেদিন প্রমোদবনে দেখেছি তোমায় । শবতকুমার সনে গলাগলি করি। বেড়াইতেছিলে করে হাত-ধরাধরি । সেদিন নয়নকোণে হেরিয়ে তোমায় । একেবারে মজিয়াছি প্রণয়-মায়ায় । পার কি না পার তুমি চিনিতে এখন। মনে মনে জানি আমি তুমি প্রাণধন। মোহন নয়নবাণে বিধিয়ে নয়ন। কোথা লুকাইয়া গেলে নাহি দরশন। একেছি হৃদয়পটে প্রতিমা তোমার । ভুলিবনা কভু তাহা ভুলিবনা আর । সে রূপমাধুরী প্রাণ ভুলিতে কি পারি ৭