পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/৩৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V}9 e মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্ৰহ রেবতী—আমি বলবন, যাও আমি বলব না, যে কথা বলবনা, সে কথায় তোমার আবার কথা কেন, আর মাথা খাওয়াই বা কেন ? বীরেন্দ্ৰ—( হঠাৎ রেবতীর হস্ত হইতে পত্র গ্রহণ ) কেমন এইতো নিয়েছি । রেবতী—(স্নান মুখে রাজার মুখ দর্শন ) বীরেন্দ্ৰ—( ভয়ে ) প্রিয়ে ! বিরক্ত হলে ? রেবতী—( দুঃখিত দ্বরে ) বিরক্ত হব কেন ? হাত থেকে পত্ৰখানা কেন্ডে নিলেন আপনি চাইলে আর আমি দিতুম না ! ( অশ্রুপতন ) বীরেন্দ্ৰ— বড় অন্যায় করেছি । তোমার অসম্মতিতে পত্ৰখানা হাতে থেকে কেড়ে নেওয়া বড়ই অন্যায় হয়েছে । প্রিয়ে ! ক্ষমা কর, পত্র নেও } / পত্র দিতে হস্ত অগ্রসর } রেবতী—( সক্রোধে রাজার হাতে আঘাত করিয়া ) আমি পত্র চাইলে । আপনি আমার হাত থেকে পত্র কেড়ে নিয়েছেন, ঐ পত্র আবার আমি হাতে কবব ? বীরেন্দ্ৰ—তোমার পায়ে ধরি। পত্র ধর, আমার অপরাধ হয়েছে । ( পত্র রেবতীর সম্মুখে লইয়া ) ক্ষমা কর, আর কোনদিন এমন হবে না। প্রিয়ে ! মার্জনা কর । রেবতী— পত্র লইয়া দূরে নিক্ষেপ ) আমি আবার—কখনই— বীরেন্দ্ৰ—( অতিক্রস্তে পত্ৰ আনিয়া রেবতীর পদধারণ ) প্রিয়ে ! তোমাব পায় ধরি, ক্ষমা কর, আমি যদি আগে জানতুম যে, এতদূর পর্য্যন্ত যাবে, তা হলে পত্র নেওয দূরে থাকছে,তুমও না। পায় ধরি—নেও, আর মনে ব্যথা eि ना । রেবতী—( রাজার হস্ত হইতে পত্র গ্রহণ } বীরেন্দ্ৰ—তোমার পায়ে শত নমস্কার, বাপরে ! একমুহূৰ্ত্ত মধ্যে আমায় একেবারে ত্রিভুবন দেখিয়েছ। রেবর্তী—( হাস্য মুখে ) পত্রের কথা শুনবে। বীরেন্দ্র—না না, আমি আর শুনতে চাইনে । তোমার পায়ে ধরি গে। আর শুনতে চাইনে । : - - রেবর্তী—না না শুনুন । আপনি মনে মনে দুঃখিত হবেন, তা অার কাজ কি, শুকুন ! איא