পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/৩৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

°Cg 。 মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্ৰহ বস আমি আসছি । ( প্রস্থান } মালতী—প্ৰণাম করি ! তোমার পায় দ গুবৎ হই ! তোমার অসাধ্য কিছুই নাই। রাজা যখন তোমার হাত থেকে পত্র কেডে নিলেন, আমার প্রাণ তখনই উডে গিয়েছিল—মনে করলেম আজ সৰ্ব্বনাশ হলো । রেবতী—ওলো ! ( হাসিতে হাসিতে ) সেকেলে বুড়োরা কি একেলে মেয়েদের চাতুর বুঝতে পাবে? দেখলি তো রাজাকে কেমন জব্দ করেছি, কেমন ঠকিয়েছি ? তা যা-হোক, পত্ৰখানা আজকেই যুরবাজকে দিবি । মালতী ! সাবধান ! একটি প্রাণী ও যেন টের না পায় । তাহলে তোমাবই মাথা আগে কাটা যাবে। ( শিবোনাম দিযে মালতীব হস্তে প্রদান ) পটক্ষেপণ । ( নেপথ্যে গীত } রাগিণী সুরট—তাল কাওয়ালী যুবরাজ দেখা দিযে রাখ মোর প্রাণ । যায় যায, যায় প্রাণ ! সহেন সহেন অাব তব আদর্শন বাণ । হেরিয়ে প্রমোদবনে, মরিতেছি মনোগুণে, মনে করি ত্বরা আসি, কব প্রেম বাবি দান । তোমাবি মিলন আশে শুখ নীরে প্রাণ ভাসে, ভাসায়োন দুঃখ নীরে, দুঃখিনী বেবতীর প্রাণ ৷ তৃতীয় রঙ্গভ.মি ভোজপুর—রাজা বিজয় সিংহের বাটি বসন্তকুমাবীৰ শযনমন্দির—বসন্তকুমারী আসীনা বসন্ত-(স্বগত ) আজকেই আমার জীবনের শেষ । আজই আমায়-ভগবান ! তুমিই বৃক্ষাকর্তা ! তুমিই অবলার আশ্রয় ! সতীত্ব রক্ষার তুমিই একমাত্র উপায়। নাথ ! তুমি কপানেত্রে অবলোকন না কললৈ দাসীর আর উপায়