পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/৩৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বসন্তকুমাব নাটক \ጋዬ ጬ নাই। র্যারে স্বপ্নে দেখেছি, তারে সভায় যদি দেখতে না পাই, তবে এ প্রাণ অাব রাখবো না । ( মেঘমালাব প্রবেশ ) মেঘ—তুমি একলা বসে কি ভাবছ ? চুপেচুপে কি বলছ ? এখানে তো কেউ নেই। কাকে কি বল ? তোমার রকম সকম দেখে আমি অবাক হয়েছি, ছি ! তুমি তো আর অবোধ নও। আজ তোমার বিয়ে, তোমার এ দশা কেন ? বলতো তোমার এ বেশ কেন ? ছি ছি! বড় ঘৃণার কথা ! বেশ করে সাজগোজ করবে, সৰ্ব্বদাই হাসিমুখে আমাদের সঙ্গে মন খুলে মনের আমোদে কথা কইবে; হাসিখুশী করে ক্রমে দিন কাটাৰে । তা নয়, আজ যেন চিরদুঃখিনী, বিবহিণী সেজেছ । বসন্ত– সখী ! আমি সাধে এরূপ হয়েছি আমার আহার নাই, নিদ্রা নাই, মনে স্বখ নাই, কেবল দিবানিশি চিন্তা সাগরেই ডুবে বয়েছি। দেখনা ভাবতে ভাবতে আমি একেবারে সারা হলেম । আমি কি আর আমাতে আছি । মেঘ—এতও জান ! তোমার কিসের চিস্তা ? আর ভাবছই বা কি ? তোমার রঙ্গ দেখে অাব বঁাচিনে বিয়ের মূখ দেখতে না দেখতে আগেই চিস্তাসাগরে ডুব দিলে ? বসন্ত— ( দুঃখিত স্বরে ) বিবাহই আমাব কাল হয়েছে বিবেচনা কব, আমি স্বপ্নে যারে বরণ করেছি, কণ্ঠহার গলায় পরিয়েছি, তার দাসী হব, র্তার চরণ সেবা করবো, এই বলে এতকাল পর্য্যন্ত দেবতার আরাধনা করছি, এই পোড়া চক্ষেব আড়াল হবে বলে প্রেম-তুলিকায় চিত্তপটে লিখে রেখেছি, সেই জীবন-সৰ্ব্বস্ব পতিভ্রমে যদি অন্য পুরুষের গলে মালা অর্পণ করি, তবে তো সতীত্ব-গৌরব একেবারে গেল ! সখী ! তুমি নিশ্চয় জেন, যদি আমার সেই চিত্ত-অঙ্কিত-রূপ সভায নয়নগোচর না হয়, তবে সেইখানেই আমি প্রাণ পরিত্যাগ করব । জীবন থাকার চেয়ে না থাকাই ভাল । মেঘ—তুমিও যেমন পাগল হয়েছ । কাকে কৰে স্বপ্ন দেখেছিলে, না জেনে না শুনে তাকে মন দিয়ে বসে রয়েছ । স্বপ্নও কি কখন সত্য হয় ? স্বপ্নে কণ্ঠহার বদল করেও কি কেউ বিয়ে করে ? এও কি একটা কথার মত কথা ? ওসব কথা ছেড়ে দেও, আমার কথা শুন ও চিন্তা দূর কর, কত