পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/৩৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

388 মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্ৰহ রাজপুত্ৰ সভায় উপস্থিত থাকবেন, র্যাকে তোমার চক্ষে দেখতে ভাল বোধহয়, তার গলে মালা দিও। এ তো আর কেউ ধরে বেঁধে দিয়ে বিয়ে দিচ্ছে না, তোমারই হাত, তোমারই চক্ষে যাকে ভাল দেখায় তারই গলে মালা দিও। বসন্ত— (বিরক্তভাবে ) বাও । ও সকল কথা মুখে এনে না, ও কথায় আমি বড় ব্যথা পাই । আমি যার দাসী, তারি গলায মালা দিয়েছি । তিনিই আমার প্রাণ তিনিই আমার জীবন যৌবনের অধিকাবা, তিনিই আমার প্রাণের ঈশ্বর, তিনিই আমার সর্বস্ব, র্তাব করে জীবন সমর্পণ করেছি। তা নেয় স্বপ্লেই বা হলো, তাতে ক্ষতি কি ? তাবেষ্ট আমি পতি বলে সম্বোধন করেছি যদি তাকে সভায় না দেখতে পাই, যা মনে আছে তাই করবো । মেম্ব—দেখব ! দেখব । বলতে সহজ গড়ে উঠা কঠিন । আচ্ছ তুমি যে স্বপ্নে কণ্ঠহার গলে পরিযে়েছ কবষ্পশ করেছ, পতি বলে সম্বোধন করেছ, তোমায় কিছু পরিচয় দেন নাই ? বসস্ত—কেন দিবেন না ? অবশ্যই পরিচয দিয়েছেন তুমি শুনতে চাও, আমি এতকাল পর্য্যস্ত সে নাম কীবো কাছে ফুটিনি মনের কথ। মনেই আছে, আজ নাচারে পড়ে তোমার কাছে ভাঙছি । সখী ! আমি যেমন যত্বে রেখেছি, তুমিও আমার হয়ে প্রাণনাথের নাম সযত্বে হৃদয় ভাণ্ডারে রাখবে । মেক্ষ—তুমি এত সন্দেহ করছ কেন ? আমি কোনদিন কোন কথা জিঙ্গরাতে s অানব না। যদি ভগবান তোমার মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করেন, তখন প্রকাশ কল্পব । বঙ্গগু—সখী । আমার জীবন-সৰ্ব্বস্ব এই প্রকাবে পরিচম দিয়েছেন । সত্য-মিথা তিনিই জানেন । রাজা বীরেন্দ্র সিংহের পুত্র, নাম নরেন্দ্রকুমার। (অশ্রুপতন) মেম্ব—এও তো ভারি জালা। আমি কেন নাম জিজ্ঞাসা করে তোমায় কাদালেম । এ কি ! নাম বললেই কণদছ কেন ? আজি আনন্দাশ্রু নির্গত হবে, না অনিবার দুঃখের বারি দর দূর করে পড়ছে। এ বড় দু:খের কথা ! আমি মিনতি করে বলছি, তুমি আর কেদলা । ( অঞ্চল দ্বারা ৰসস্তকুমারীর চক্ষু মার্জন ) বসন্ত-ৰলব কি সখী। প্রাণমাথের নাম মনে পড়লে কোথা থেকে হু-হু শব্দে চক্ষে জল এসে পড়ে । কর্তরূপে নিধারণ চেষ্টা করি, সকলই বিফল