পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/৩৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বসন্তকুমারী নাটক S枪● হয় ! ( বিজয় সিংহের প্রবেশ ) ( বসন্তকুমারী পিতৃচরণে প্রণাম করিয়া দ গুণয়মান ) বিজয়-এ কি ! আজি তোমার মলিন বেশ কেন । আজ তোমার মলিন বদন দেখে মনে বড়ই বেদন হচ্ছে । আজ তুমি স্বয়ম্বর গ্রহণ করবে, তোমায় কি এই বেশে থাকতে হয় ? অপর সাধারণ তোমার জন্য সন্তোষ হৃদয়ে উত্তম উত্তম বেশভূষা কবছে, মা তুমি কেন স্নানমুখে মলিন বেশে রয়েছ ? তোমার কিসের দুঃখ মা ; আজ তুমি ভাল কাপড পরবে, মণিময় অলঙ্কারে ভূষিত হবে, কেশ বিন্যাস করবে না—তোমার সকলি বিপরীত দেখতে পাই । সহচরীবা ! তোরা কোথায ? অামাব বসন্তকুমাবীকে সাজিয়ে দে। এই সমস্ত কারুকার্য খচিত বসন, এই সমস্ত মণিময়-অলঙ্কার এনেছি, তোরা সকলে মনের মত করে আমব বসন্তকে সাজিয়ে দে । বসন্ত-পিতঃ ! ও সকল বসন-ভূষণে আমার কাজ নাই। কৃত্রিম-রূপ অপেক্ষ ঈশ্বব-দত্ত-রূপই প্রশংসনীয়। শত খণ্ড হীরা মাথায় দিলেই যে গৌরবণী হলো তা নয়, নারীজাতিব সতীত্বই যথার্থ গৌরব, পতি ভক্তি ভূষণই রমণীর প্রধান ভূষণ । মণিমুক্তা, অলঙ্কারে স্বরূপাকেই অধিক সুন্দরী দেখায়, কিন্তু পতি ভক্তি অমূল্য-ভূষণে স্বরূপা—কুরূপ উভয়েই সুন্দরী। যে অলঙ্কারে কুরূপাকেও স্বরূপার সমান করে, সেই অলঙ্কারই অলঙ্কার । দেশীয় বমণীগণ ষে কেন স্বর্ণ-অলঙ্কারকে এত আদর করে, তার ভাব আমি কিছুই জানি না । পিতঃ ! লজ্জাই অবলার অমূল্য-বসন । এ সকল জেনেও যে, রমণীগণ কারুকার্য খচিত বসনে অবগুণ্ঠন দ্বারা লজ্জা প্রকাশ করেন. এ বড় লজ্জার কথা । আমার অপরাধ মার্জনা করুন । আমি ও সকল অহঙ্কারপূর্ণ বসন—ভূষণ অঙ্গে ধারণ করে গৌরবিণী হতে বাসনা করি না । মিষ্টভাষিণী, নম্রস্বভাবা, সত্যবাদিনী, ধীরা এবং স্বামীর অল্পবৰ্ত্তিন হলেই যখন তার প্রণয়িনী হওয়া যায়, তখন কৃত্রিম-বেশভূষা স্বামীর ভালবাসা হতে ভালবাসি মা । বিজয়-বাছা বসস্ত ! তোমার এই মধুমাখা কথা শুনে আমার শ্রবণেন্দ্রিয় জুড়াল। প্রাণাধিক হেমস্তকুমারীর আর রাণীর মরণ হঠাৎ মনে পড়েছিল, তোমার এই সুশ্রাব্য কথাকটি শুনে এতদূৰ ক্ষী হয়েছি যে, সে সকল কথা কিছুই