পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/৩৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বসন্তকুমাবী নাটক Q8ግ সহচরীদ্বয় জগতমোহিনী, যেমন বিদ্যুৎ লতা বাসস্তী গগনে ! সাজায়ে বরণ ডালা অগুরু চন্দন, মনোহর ফুলমালা স্ববাসিত জল, দু’ধাবী চামর সেলি, সংস্থা অনন । ওই দেখ আসিছেন বসন্তকুমারী। নযন খেলিছে যেন যুগল খঞ্জন, নীল শতদলে যথা যুগল ভ্রমর, তেমনি শোভিছে তব মুখ শতদল ৷ অামাবি, আমারি যেন প্রকৃতি আপনি জগতের যত শোভা একঠাই কবি এনেছেন শোভিবারে বাজ তনয়ায় । নবীন যৌবন বলি। বসন্তকুমারী । বহ রহ বাজগণ দেখ নেহাবিয়া, আসিছেন বাজকল্প বিকশি-বদন, অকলঙ্ক চাদ যেন উদয় মহীতে হইল, মোহিতে আজ তোম! সবাকায । [ প্রস্থান } ( সহচরীদ্বয় সঙ্গে বসন্তকুমারীর সভায প্রবেশ–প্রথমে মলিন বদনে চতুপাশ্বে দৃষ্টি—হঠাৎ নবেন্দ্রকে নযনগোচব কবিয়া পূর্ণানন্দে নরেন্দ্রকুমারের গলায় মাল্যদান— এবং সভাস্থ সকলের সন্তোষ-স্বচক করতালি ? ( বিজয় সিংহের প্রবেশ ) বিজয়—ম ! আমি মহা সুখী হলেম । উপযুক্ত পাত্রের গলাতেই মাল্য অর্পণ করেছ। আজ আমার আশা পূর্ণ হল । বৎস নরেন্দ্ৰ ! ( সবোদনে ) আমার সর্বস্ব-ধন, আমার যতুেব রতু, বসন্তকে তোমার হস্তে সমর্পণ করলেম । আমার বসন্ত—{ বসন্তকুমারীর হস্ত ধরিয়া নরেন্দ্রের হস্তে দান, সভাস্থ সকলে সহৰ্ষে করতালি এবং নেপথ্যে বিবিধ বাদ্য ও উলুধ্বনি } পটক্ষেপণ