পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/৩৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

や輸br মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্ৰহ তুতীয় অন্ত প্রথম রঙ্গভূমি । ইন্দ্রপুর ; রাজবাটি—রেবতীর শয়ন মন্দির ; ( রেবতী ও মালতী দাসী আসীন ) বেবতী—মালতী মনে পড়ে ? কেমন, হয়েছে তো? আমি যা বলেছিলুম তাই হয়েছে কি-না ? মালতী —হয়েছে । আপনি যা বলেছিলেন, ঠিক তাই হয়েছে। পটে যে রূপ দেখেছিলেম, এখন তাব চেয়ে শতগুণ স্থনদবী দেখতে পাচ্ছি । বেশ হয়েছে, যেমন যুবরাজ, তেমনি বসন্তকুমাবী ! যথার্থ রাজমহিষী ! বেশ মিলেছে। মহারাজ এই ৰিবাহে বড়ই খুশী হয়েছেন । আবার শুনলুম যুবরাজকে বাজ করবেন । তাই নিয়ে পাড়াব মেয়েবশুদ্ধ আমোদ কবছে । যুব রাজ রাজা শুনে আরও খুশী হয়েছে । সকলেই বলাবলি কবছে, কাল আমাদের যুবরাজ নরেন্দ্রকুমার বাজ হবে । রেবতী—তুই বসন্তকুমারীকে ভালকবে দেখেছিস তো ? মালতী—দেখছি, আমন সুন্দর মেয়ে আর কখনও দেখি নাই। পাড়ার মেয়েব তো বসন্তকুমারীকে দেখে আহিলাদে গলে গলে পড়ছে । মহিষী ! তোমায় কেন এমন দুঃখিত দেখছি ? তোমার কিসেব দুঃখ ? তুমি রাজরাণী, তোমার কিসের দু:খ ? ঘেবতী—মালতী ! তুই আমার মনের ভাব জেনেও যে আমন কথা বলছিল ? অামার প্রাণে আর সমনী । নরেন্দ্র বিবাহ করে এসে মনেব আনন্দে নৰযুবতীর সঙ্গে সুখভোগ করবেন, আর আমি তাই দেখব, আমার প্রাণে তাই সহ হৰে, আমি মনে মনে পুড়ে মরব ? এ কখনই হবেনা । ( নিস্তব্ধ হইয়া ক্ষণকাল পরে ) আমি আজ এর একখানা করবই করব । যুবরাজ বাজা হলে আর কোন উপায থাকবেন । যে আমার হল না তার উপর এত মায়া কেন ? তার জন্য এত দুঃখই বা কেন ? বসন্তকুমারী, তুই আমার স্বখতরী ডুবালি। আচ্ছা, তোমার এ সুখের বাসা আজই ভাঙব,— ভাঙইব—ভাঙব । তখন দেখবে, রেবতী কেমন মেয়ে । যুবরাজ, তুমি আমার শক্ৰ, আজ তুমি আমার শত্ৰ ! ( বলিতে বলিতে জঙ্গের আভরণ ত্যাগ