পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/৩৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বসন্তকুমারী নাটক *钮冷 এবং আলুলায়িত কেশে ধুলিশয্যায় শযন । মালতী—এ কি ? এ কি কর ? ওমা ! তুমি এ কি কর ? কথা বলতে বলতে এ আবার কি ? রেবতী—তুই চুপ করে থাক । তোর এত কথায় কাজ কি ? মালতী—ন, না, না, তুমি উঠ, মঙ্গরাজেব অস্তপুরে আসবার সময় হয়েছে, তুমি উঠ । রেৰতী—ন, আমি উঠবন!. তুই চু । কবে থাক । রাজা এলে কোন কথা বলিস নে, যা বলতে হয়, আমিই বলব । ( রাজা বীরেন্দ্রের প্রবেশ ) মালতী— ( সভয়ে দূরে দ গুীয়মান ) ৰীরেন্দ্ৰ—এ কি ? ( কিঞ্চিৎকাল নিস্তন্ধে ) বলি এ কি ? মালতী ! এ কেমন ? ( নিকটে যাইয় ) প্রিয়ে ! তোমার কি হলো, তোমার এ দশা কেন ? আমার প্রাণ ধূলায় গড়াগডি যাচ্ছে, আমি এখনও দাড়িযে আছি ! কোন পীড হয়েছে ? না, না, তা নয, অঙ্গের আভরণ যখন মাটিতে পড়ে আছে, তখন এ দুঃখের চিহ্ন ? তোমাকে কি কেউ মন্দ বলেছে ? ন| তাই ব কি করে হবে, কার জীবন ভার হয়েছে, বাচবার সাধ নাই যে, তোমায় মন্দ বলেছে । আমি তো কিছু বলি নাই । আর কীবই বা এমন সাধ্য যে রেবতীকে কটু উক্তি করে বেঁচে যাবে । যথার্থই কি তার প্রাণের মায নাই ? এমন সাধ্য কার ? প্রেমসী ! উঠ, তুমি আমার--- নিকটে যাইয়া ) প্রিয়ে ! ( হস্ত ধরিয়া ) ছি ! এখনও চক্ষের জলে মাটি ভিজে যাচ্ছে । বীরেন্দ্র সিংহ বর্তমান থাকতে তোমার চক্ষের জল পড়ছে ? বীরেন্দ্র সিংহের মহিষীর চক্ষে জল পড়ছে ? যদি যথার্থই তোমার কেউ কোন কথা বলে থাকে, তবে তুমি তার কেবল নামটি মাত্র বল। দেখ, তোমার সম্মুখেই এই দণ্ডেই এই অসি দ্বারা সে দুরাত্মার, শিরচ্ছেদন করব । প্রিয়ে ! উঠ, আর আমায় কষ্ট দিও না । রেবতী—{ ক্ৰন্দন করিতে করিতে ) আমি দেহে আর প্রাণ রাখব না । তুমি দেখ, তোমার সম্মুখেই প্রাণত্যাগ করছি, দাড়াও ! তোমার সম্মুখেই প্রাণত্যাগ করি । বীরেন্দ্র-কতোমাৰ পায় ধরি, তোমার জীবনে এত ঘৃণা কিসে হল ? স্পষ্ট করে