পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/৩৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\ОФ o মীর মশাররফ হোসেন বচনাসংগ্ৰহ বল। আমি বাবে যদি তাব কোন প্রতিফল না করতে পারি, তবে তুমি এক মরবে কেন, আমিও তোমার সহগামী হব । তুমি আমার—তুমি মরবে কেন ? বেবতী—মহাবাজ! সে বড় ভয়ানক কথা। আমি সে কথা মুখে আনতে পারিনা। আমার মরণঃ ভাল । পুত্রের এই কাজ ! আমি নয় বিমাতাই হলমে! তাইবলে কি তিনি আমায কোন মন্দ কথা বলতে পারেন ? এই কি ধৰ্ম্ম ? তুমি কোথায় ! আমি এ প্রাণ বাখবন । পুত্র হয়ে আমায এমন কথা বলতে পাবে ? ছি ছি প্রাণে ধিক । নালীকুলে ধিক ! তোমাব মত রাজার শত ধিক ! আমি তোমাব বাণী হয়ে আবাব তোমারই পুত্র মুখে—শুনতে হল ; হয় । হায় ! প্রাণ বের ৫. আর কষ্ট দিওন । নরেন্দ্রেব দুষ্ট-অভিসন্ধির কথাৰ ভাব শুনে ও কি তোমাব ঘৃণা হয় নাই ? তোমায় শত ধিক । তুমি এতক্ষণ যে দেহে আছ সে দেহকে ও ধিক ! বীরেন্দ্ৰ—প্রিয়ে ; আর বলন । আর বলতে হবেন । আমি বেশ বুঝতে পেরেছি। এখনই চক্ষে দেখতে পাবে, বাবেন্দ্রের ক্ষমতা আছে কি না? তুমি স্থির হও । আমি প্রতিজ্ঞা কবছি, এই অসি দ্বারা তোমাব সম্মুখেই দুৰ্ব্বত্ত কুলাঙ্গরকে এখনই দুই খ গু কবর। বড় লজ্জার কথা ! পুত্রেব এই কাজ ? ( ক্রোধ স্বরে ) নগরপাল । নগরপাল ! রেবর্তী—মহারাজ ! অস্তঃপুর মধ্যে নগবপাল কোথায ? বীরেন্দ্র –আমি হতজ্ঞান হয়েছি । মালতী ! তুমি শীঘ্রই নগবপালকে ডেকে আন । ( মালতীর প্রস্থান ) রেবর্তী—হায় হায় ! আমার অদৃষ্ঠে এই ছিল । বাজরাণী হয়ে এই হল। সকলের কাছে মাননীয়া হব, লোকের নিকট আদরিণী হব, সুখে থাকব বলেই পিতামাতা রাজরাণী করে দিয়েছিলেন, হায় হায় ! শেষে অমৃষ্টে এই হল । মহারাজ ! ( রোদন-স্বরে ) আমাব বঁচিবার আর সাধ নাই । বীরেন্দ্ৰ—কেন এত দুঃখ করছ। দেখ ! তোমার সম্মুখেই দুরাত্মার উচিত শাস্তি করছি । আর কেন্দ্রনা, আমার মাথা খাও, আর কেদন । তোমার চক্ষের জল আমি আর দেখতে পারিনা । রেৰতী—( কিঞ্চিৎ উচ্চস্বরে কাদিতে কঁাদিতে ) মহারাজ ! ছিছি ! বড় ঘৃণার কথা ! আপনার কোন অপরাধ নাই, আমার মাথা আমিই খেয়েছি ।