পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/৩৬৬

বসন্তকুমারী নাটক ’ و بهها লরেঞ্জ-( নিস্তন্ধ ) হা ভগবান! (বসন্তকুমারীর প্রতি ) প্রিয়ে ? অার'কেঁদে না। এ বাদবার সময় নয়। কাদলে আর কি হবে পিতার আজ্ঞা! তুমি আমায় জন্মশোধ বিদায দেও। পিতঃ ! আমি বিদায় হলেম ! --মা রেবতী ! অামারে জন্মের মতন বিদায় দিন ! বসন্ত—( সরোদনে ) নাথ । আমি যে চিরসঙ্গিনী, যেখানে বাধেন আমিও সেখানে যাব ! ( বেদিন ) w. নরেন্দ্র –প্রিযে। সে কি কথা ? তুমি এখনও বুঝতে পাৰ নাই ? আমি জন্মের মত বিদায হচ্ছি। ৰসস্ত ( উচ্চবোদনে ) ত কখনই হবে না। —বসন্তকুমারী তোমারে কখনই প্রাণ থাকতে অসহায় হযে অনলে প্রবেশ করতে দেখবে না। আগে " ‘আমিই আগুনে ঝাপ দিব । এও কি কখনও হয়, যে, পতির মরণ স্বচক্ষে দেখে সতী-স্ত্রী জীবনধাবন করে থাকে ? নাথ । এই দেখুন সেই বিবাহেৰ রাত্রেপ অলঙ্কার অঙ্গেই আছে, পাযের আলতা পায়েই আছে, সি তার মিছবও মলিন হয়নি, এই বেশেই পতির সঙ্গে অনলে প্রবেশ করবে। মিনতি কবে বলছি চিরসঙ্গিনী অভাগিনীর চক্ষের পথে একবার দাড়াও; আমি তোমাব সম্মুখে ঐ জলন্ত অনলে প্রবেশ করি । নরেন্দ্র-তবে প্রস্তুত হওঁ । বসন্ত-- আমি প্রস্তুত আছি। কেবল আজ্ঞার অপেক্ষ । নরেন্দ্র –(পিতচবণে প্রণাম করিলে উদ্যত ) পিতঃ ! বিদাষ হলেম । নীরেন্দ্ৰ—পামর । তুই আমাষ স্পর্শ করিস না। কখনই করিস না ! নরেন্দ্ৰ— (মীন মুখে ) মন্ত্রীবর । নরেন্দ্র অদ্য জন্মের মত विशत्र, প্রার্থনা করছে । মন্ত্রীবর ! আপনি শৈশবকাল হতে আমাষ যে এত স্নেহ করেছেন, হতভাগা দ্বারা তার প্রতিশোধ কিছুই হলো না । সমস্ত 'অপরাধ মার্জন করবেন, আব প্রিযবন্ধু শরৎকুমারকে বলবেন, নরেজ পিতৃমাজা পালৰে অনলে আত্মবিসর্জন করেছে। (শরৎকে উদ্দেশুে ) প্রিয়মিত্র শরং মরণ সময় তোমাৰ সঙ্গে দেখা হলো না? মনের কথাও বলতে পালনে না। মিত্র অঙ্গতে দি কোন অপৰাধ করে থাকি, আর্থনা করে। দ্বজেক্ট কোনদিন ধদি কিছু রূঢ় কথা বলে থাকি, মার্থনা করে । পূর্বাসিগণ ।