পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/৩৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

t " , গো-জীবন Վյան আমরা বুকের ছাতি ফুলাষ্টয় রাজবিধিতে বারণ নাই –গোবধে দুগু নাই বলিয়া ভ্রাতার মনে মৰ্ম্মাস্তিক আঘাত করিব ? অামার মতে একথা কথাই নহে। কালে আমবা বাজাকে পরিত্যাগ কবিতে পারি। বাজাও আমাদিগকে পরিত্যাগ করিতে পাবেন । কিন্তু হিন্দু মোসলমানে কেহই কাহাকে পরিত্যাগ করিতে পারে না . —পরস্পর কেহই কাহাকে ছাড়িতে পারে না । জগত যত দিন— সম্বন্ধও ততদিন । এমন গুঞ্চতব সম্বন্ধ যাহাঁদের সঙ্গে তাই দেব মনে ব্যথা দিতে আমাদেব মনে কি একটুকু ব্যথা লাগে না । প্রস্তাব উপসংহার কাছে আর একটা কথা মনে পডিল । তাহার মীমাংসা মা কবিয কিছুতেই এ প্রস্তাব শেষ করিতে পারিলাম না । মোসলমান ভ্রাতাগণ যদি বলেন, উপকারীজনেব উপকাব মনে করিয়া, কি হিন্দু ভ্রাতাগণের মৰ্ম্মাঘাতেব কথা স্মবণ করিয গোবধ যেন বন্ধ কবিলাম, কিন্তু জগতের একমাত্র সহায় বল, আশ্রম যাহা কিছু বল—সকলি ধৰ্ম্ম । ধৰ্ম্ম সাৱ - ধৰ্ম্মহ মূল । সেই ধৰ্ম্ম, সেই এসলাম ধৰ্ম্মে বলিতেছে কোরবানি কর । মানিলাম বিধি আছে, সে বিধি লঙ্ঘনের উপায় নাই—তাহা যথার্থ। কিন্তু ভাই । সে তে বৎসবের মধ্যে একদিন মাত্র । তাহা হইলেও অনেক মঙ্গল । অতি কম হইলেও সমগ্র ভারতে প্রতিদিন পঞ্চাশ হাজার গোধন পাকস্থলিতে মজিয়া যাইতেছে । অতি কম হইলে ৪ হাজার গোবৎস্য কেবল স্বরূযায উডিমা যাইতেছে, এগুলি তো বৃক্ষ পাঠবে । অকুমানের কথা নহে, কল্পনাবও চিত্র নহে, আমি স্বচক্ষে দেখিয়াছি নিৰ্দ্দয় কসাইগণ যে সময় সেই একপক্ষ, কি মাসেক বয়সের গোবৎস্তগণের পা বান্ধিয়া ঝাকায় তুলিয়া মাথায় কবিয়া বধ্যভূমিতে লইয়া যায়, তখন মানুষ মাত্রেরই চক্ষে জল আইসে, হৃদয়ে ভয়ানক আঘাত লাগে । আহা ! গোবৎস্তগুলির সেই সময়ের কাতর রব শুনিলে মনে যে কত কথারই উদয় হয়, তাহ বলিয়া শেষ করা যায় না। সাধ্য নাই, ক্ষমতা নাই—কি করি! যাক সে চিন্তা, সে কথা বৃথা ! যে কথা বলিতেছিলাম, বৎসরে একদিন কোরবানি না দিলেই নহে। ইহা স্বীকার্ষ্য । মোসলমান মাত্রেরই একথা স্বীকার্যা । কিন্তু কোরবানির কারণ কি ? কেন কোরবানি ( বলি ) প্রথা প্রচলিত হইল, ইহার গুঢ়তত্ব প্রতি আমাদের অর্থাৎ ভারতীয় মোসলমান সমাজের একেমারে দৃষ্টি করা আবণ্ঠক । সাধারণে জানে যে ‘ইদজহায় গরু কোরবানি না করিলে ধর্শ্ব বজায় থাকে না, মোসলমানিত্ব রক্ষা পায় না-এটি সম্পূর্ণ ভুল।