পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/৩৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

<)ፃ: মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্ৰহ আবার দেখুন ! “গোমূত্ৰং গোময়ং ক্ষীরং সপিৰ্দধিরোচনা। ষড মেতদধি মাঙ্গলাং পবিত্ৰং সৰ্ব্বদ গৰাং গ্ল’ “গোমুত্র, গোময়, গব্যস্থত, দধি এবং গোচনা এই অষ্ট প্রকার গব্য দ্রব্যই শুভ । হিন্দুর সকল প্রকার শুভকৰ্ম্মে ইহার প্রয়োজন ।” এইরূপ বচন হিন্দুশাস্তে শত সহস্র রহিয়াছে । সে সমুদায় বিবৃত করা আমার অনধিকার চর্চা। তবে নিতান্তই দুঃখের বিষয় যে, মোসলমান তাহার শাস্ত্র বজায় রাখিযা গোবধ জন্য চীৎকার করিতেছে, টাঙ্গাইলের হিন্দু ভ্রাতাগণ নীরব ! ভ্রাতাগণ জানিবেন ভারতে হিন্দু মোসলমান একত্র হইয়া একযোগে কোন কার্য্য না করিলে কখনই তাহ সিদ্ধ হইবে ন} } একপক্ষ শতবর্ষ কথা কুটিলেও ঈশ্বর সদয হইবেন না । অদ্য এই পর্যাস্ত ! তুতীয প্রস্তাব rosigsty; খাদ্য অখাদ্য সুখাদ্য । —যাহা সকলেই খায় তাহাই সাধারণ খাদ্য । যাহা কোন মাঙ্গষে ভক্ষণ করে না । —তাহাত অখাদ্য ! রুচি ভেদে, কাহারও অখাদ্য, কাহার ও সুখাদ্য কুকুর, বিড়াল, শৃগাল, ভেক. ব্যাঘ্ৰ, ছবিপোক। কাহারও সুখাদ্য কাহার অখাদ্য । গরু কাহারও খাদ্য, কাহারও অখাদ্য । ছাগ, মেষ, মহিষ, বরাহ প্রভৃতি কাহারও অখাদ্য আবার কাহার কাহার উপাদেয় খাদ্য । এই সকল গোলযোগে, যাহা সকল মাস্তষেই খায়, কি খাইতে ঘৃণা না করে, কোন প্রকার অসুখেরও কারণ না হয়, তাহাকেই খাদ্য বলিয়া নির্দিষ্ট করিতেছি । অখাদ্য যাহা কোন মামুষে খায় না । মুখাদ্যের কথাতো পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি । এইক্ষণে কথ। এই– দেশ, কাল, পাত্র, বিবেচনা করিয়া খাদ্যের ব্যবস্থা করা আবশ্বক। পাকস্থলির পেষণশক্তির শক্তি বুঝিয়ান্ট উদর পূর্ণ করা উচিত। আমরা বঙ্গবাসী । আমাদের সাধারণ খাদ্য কি ? দশে পাচে একদিন কি কুটুম্ব স্বজন, বন্ধু বান্ধবদিগের আগমন উপলক্ষে আমরা যে খাওয়া-দাওয়া করি তাহাকে সাধারণ খাদ্য বলিতে পারি না । সদা সৰ্ব্বদা যাহা খাইয়া থাকি, সেই খাদ্যই যথার্থ খাদ্য । বঙ্গের জল, বায়ু, তাপ এবং মৃত্তিকার প্রতি লক্ষ্য রাখিয়া যথার্থ খাদ্য নির্দেশ করিতে হইলে, স্বাস্ত্য রক্ষা করিয়া খাদ্য নিৰ্ব্বাচন করিতে হইলে, একেবারে তেলেবেগুনে জুলিয়া না উঠিয়,— গরু খাইতে বারণ