পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/৩৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গো-জীবন \3 שס ৭ । লিখক বলেন, “প্রিয় মুন্সীসাহেব ক্ষমা করিবেন।” মুন্সীসাহেব ! আপনাকে ক্ষমা করা যাইতে পারে না । “আমাদের মধ্যে হলাম হারাম ইত্যাদি”—এ-কথা আপনে ব্যবহার করিতে পারেন না । বোধহয় আপনে গোমাংস ভক্ষণার্থে মুসলমান ধৰ্ম্ম নূতন গ্রহণ করিয়াছেন এবং কয়েকদিন পৰ্য্যস্ত গোমাংস ভক্ষণ করিয়া হজম করিতে সাধা হয় নাই, তাই বুঝি গোমাংসের বিরুদ্ধে প্রবন্ধ লিখিতে বসিয়াছেন। এমন ব্যক্তিকে কখনই মুসলমান জগৎ প্রতিনিধিত্বে বরণ করেন নাই যে তিনি যাহা বলিবেন তাহাই লোকসমাজে সমস্ত মুসলমান জাতির উক্তি বলিয়া নির্দেশিত হইবে । ৮ । গে; বংশবৃক্ষক মহাশয় । আপনে মুসলমান বলিষা দাবি করুন তাহাতে আমার কোন ক্ষোভের কারণ নাই। “রাফিজী" সম্প্রদায়ও মুসলমান বলিয়া দাবি করিয়! থাকে, কিন্তু সাফি, হানিফি শব্দ উল্লেখ হালাল হারামের বিচারের প্রয়াস পাওয়া আপনাব ন্যায় লোকের পক্ষে শোভা পায় না । ৯ । “সাফি মতে জলজন্তু মাত্রেই হালাল”—এই শান্ত আপনে কোথায় পাইলেন আমাকে দেখাইযা দেউন। অনেক শ্রেণীস্থ জলজন্তু সাফি মতেও হারাম । বোধকবি আপনিই প্রথম মাংস ভক্ষণ আরম্ভ করিয়া যখন যে জন্তু সম্মুখে পাইতেন তাই ভক্ষণ করিয়া তাহার বিষময় ফলও ভোগ করিযী থাকিবেন । শেষ বজকের পায় পডিয়াছেন । ১০ । “সাফি মতে বজকের পদ যতটুকু জলে থাকে কাটিয়া লইয় ইত্যাদি,”—এমন কথা কোরাণ হাদিস এবং মহাম্মদীয় কোন ধৰ্ম্ম গ্রন্থে নাই । আ নে কোথা হইতে আনিয়া যোগ কবিতেছেন বুঝিতে পাবি না । কোরাণ হাদিস এবং মহাম্মদী ধৰ্ম্ম গ্রন্থে যে বিষয় নাই সেই সব বিষয় আছে বলিয়া যাহারা প্রচাব করেন র্তাহারা কোরাণের আয়েত অনুসারে ফাছেক, জালেম, কাফের এবং মহাম্মদীয় ধৰ্ম্ম হইতে বর্জিত বলিয়া নির্দেশিত। বোধকরি আপনিই কখন সাফি মতের দায় দিয়া রজকের পায়ের সিদ্ধ পোড়া শুরওয, ঝলসা প্রভৃতি পাক আহার করিয়া স্বাদ পরিগ্রহ করিয়া থাকিবেন। ১১। "শাহে একথা লিখা নাই যে গোহাড় কামড়াইতেই হইবে, গোমাংস গলাধ না করিলে নরকে পচিতে হইবে, বরং যাহা অখাদ্য তাহার নাম উল্লেখ স্পষ্ট নিষেধ বাক্য, খাইও না, লিখা আছে ! —শান্তে লিখা আছে কি না তাহা