পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/৩৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Voro মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্ৰহ হওয়ার সম্ভাবনা নাই ; তদজন্যই বধ হইয়া থাকে ছাগ প্রভৃতির সংখ্যা অতি অল্প, তাহাদের অনবরত ধ্বংশে বংশ নিপাত হওয়ার আশঙ্কা | সৃষ্টি নিপাত করা কাহার তো উদ্যেশু নহে । ২০ । “এপর্য্যস্ত মুসলমান জগতে প্রচলিত ধৰ্ম্ম গ্রন্থে উল্লেখ, সুতরাং কর্তব্য মধ্যে পরিগণিত। ঘটনাস্থল “মঙ্ক” হজরত মহাম্মদের জন্মের পূৰ্ব্বে,”— লিখক মহাশয়! কোরবানির উৎপত্তির মূল কারণ কিছুই উল্লেখ করেন নাই, কেবল ঘটনাটি মাত্র প্রকাশ করিয়া নানা বাঙ্গজনক উক্তি করিয়াছেন । মুসলমান ধৰ্ম্ম সৃষ্টি অবধি বর্তমান সময় পর্য্যস্ত ইহার বিরোধীগণও ইহাকে এমন তীব্রভাবে আক্রমণ করেন নাই । তবে লিখক মহাশয় স্বয়ং মুসলমানী দায় দিয়া কেন যে এসলামকে বিদ্রুপ এবং উপহাস করিয! ধৰ্ম্ম চুত হইতেছেন, তাহার বিচাব মুসল মান সমাজ করুন | “এ পর্য্যস্ত মুসলমান জগতে প্রচলিত,” লিখক মহাশয়ের মনে বিশ্বাস যে ইহাব মূলে কিছুই নাই, কেবল প্রচলিত প্রথানুসারে চলিয়া আসিতেছে, বাস্তবিক তাহা নহে, মূল অতি দৃঢ়। "ধৰ্ম্ম গ্রন্থে উল্লেখ,” তাহার লিখার ভাবে বুঝা যায় যে তিনি এ-কথাটি সহজে স্বীকার পাইতেছেন না, কেহ যেন তাহাকে বলপূৰ্ব্বক স্বীকার কবাইতেছে। কোরাণ ও হাদিসে যে কোরবানির কথা উল্লেখ আছে তাহা কি কখন তিনি কণেও শুনেন নাই ? ১১ । “ধৰ্ম্মের গতি বড চমৎকার, পাহাড়, পৰ্ব্বত, মরুভূমি সমুদ্র, নদনদী ছাড়াইয়। মুসলমান ধৰ্ম্ম ভারতে আসিয়াছে, সঙ্গে সঙ্গে কোববানিও আসিয়াছে’, ধৰ্ম্ম বাস্তবিকই ধৰ্ম্ম তাহাব গতি অতি চমৎকার না হওয়ার কথা কি ? যে ধৰ্ম্মের নেতা একজন মাত্র সহায় লইয় আপনার সদৃশ বহু সংখ্যক প্রতিবাদীর মুখের উপর ধৰ্ম্ম প্রচার করিতে ভীত ও কুষ্ঠিত হন নাই, সে ধৰ্ম্মের গতি চমৎকাব বৈকি ? যখন তাহাব গতি চমৎকাব তখন তাহাকে পাহাড, পৰ্ব্বত, মরুভূমি, সমুদ্র, নদনদী ছাড়াইয়। ভারতে আসিতে বাধা দিতে পারে এমন সাহসী কে ? ধৰ্ম্ম যখন আসিতে সাহসী হইল তখন তাহার অঙ্গ-প্রতঙ্গ সমস্ত অবশ্ব তাহার সঙ্গে আসিবে, তাহাতে কোববানি দৃষি কিসে? গোরক্ষক মহাশয় ! নয়ন মুদিয়া মননিবেশ পূৰ্ব্বক একটুক চিন্তা করিয়া দেখিলেই অমুধাবন করিতে সমর্থ হইবেন যে, উহার আপন মতানুসারে দিনদিন দশ সহস্ৰ গোবধ হওয়া সত্বেও গোবংশের কিছুমাত্র ধ্বংস বা বিলুপ্তি হয় নাই !