পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/৩৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গো-জীবন \'\r) বহুল পরিমাণে ভক্ষিত হয়, অথচ উহাদেরই বা বংশের এত উন্নতি কেন ? ইহার অভ্যন্তবে কি কোন বৈজ্ঞানিক বৃহস্ত নহে? যাহার যুক্তিমাৰ্গ বিচরণ করেন উাহাদের একবার এসব বিষয় চিন্তা করিয়া দেখা উচিত। কোন কোন বিজ্ঞ সংবাদপত্র সম্পাদক এরূপ প্রস্তাবও উত্থাপন করিয়াছেন যে ভারতের হিন্দু বাজা ও জমিদাবগণ র্তাহাদের অধিকারে গোবধ নিবারণ কবিয়া দিলে গেবিংশ অনেক অংশে বৃক্ষা পায় । আমবা বলি, আমাদের দ্যায পরায়ণ সদাশয় ব্রিটিশ গবর্ণমেন্ট কি হিন্দুরাজ ও জমিদারদিগকে এরূপ অযথা ক্ষমতা প্রদান করিবেন ? যদি এরূপই হয, তাহা হইলে মুসলমান নবাল ও জমিদারগণ হিন্মুদিগের মধ্যে গায়েব জোরে বিধবা-বিবাহ প্রচলিত করিতে পারেন। গোকুল রক্ষা অপেক্ষা হিন্দু বিধবাদিগকে পাপকাৰ্য্য হইতে বক্ষা কবা এবং দ্রুণ হত্য নিবারণ করা কোনরূপেই অল্প পুণ্যের কার্য নহে। আমাদিগের হিন্দু ভ্রাতাগণের বর্তমান গতিমতি দেখিয স্পষ্টই উপলব্ধি হইতেছে যে, ইহারা কিঞ্চিৎমাত্র রাজ্য প্রাপ্ত হইলে প্রথমেই মুসলমানদিগকে গোমাংস হইতে বঞ্চিত কবিবেন । তারপর মূসমানদিগের অন্যান্য ধৰ্ম্ম কাৰ্য্যগুলিও বন্ধ করিয়া দিবেন । ইহার স্পষ্ট প্রমাণ কাশ্মির এবং অন্যান্য হিন্দুরাজ্যে বর্তমান । হিন্দুদিগের এই সমস্ত অযথা আন্দোলন ও আবদার দেখিয়া স্পষ্টই অল্পমান হইতেছে যে, মুসলমানদিগকে নির্যাতন করাই তাহাদের একমাত্র উদ্দেশ্য। উপসংহারকালে আমরা আর একটি কথা না বলিয়া ক্ষাস্ত থাকিতে পারিলাম না। ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, দেলদুয়ার হইতে একখানি মোসলমান সংবাদপত্র (আমরা কিন্তু মুসলমান সংবাদপত্র বলিতে প্রস্তুত মহি। বাহির হয়। কাগজখানির নাম “আহমদী”, সম্পাদক আবদুল হামিদ খান ইউসুফজয়ী মুসলমান নামে পরিচিত। কিন্তু কাগজখানিব ভাব, ভঙ্গি ও সম্পাদকের লিখন ভঙ্গি দ্বারা আমরা কোনরূপেই সম্পাদককে মুসলমান বলিয়া স্থির করিতে পারিতেছি না। বর্তমান বর্ষের আহমদীর প্রথম ও দ্বিতীয় সংখ্যায় “গোকুল নিৰ্ম্মল আশঙ্ক’ নামক একটি প্রবন্ধ বাহির হইয়াছে, লেখক কে তাহ জানিনা, কিন্তু তিনি আপনাকে মুসলমান বলিয়া পরিচয় দিয়াছেন । জামরা মুক্ত কণ্ঠে বলিতেছি এরুপ যাহার মনের ভাব, তিনি মুসলমান নহেন । মুসলমান বলিয়া তিনি কোনরূপেই দাওয়া করিতে পারেন না। এরূপ প্রবন্ধ লিখিয়া তিনি খোদাতালার সত্যধৰ্ম্ম প্রচারকের আদেশ অমান্ত করত নিশ্চয়ই কাফের হইয়াছেন। যদি তিনি ইহার প্রাণ