পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/৪০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্ৰহ وخ جنيه জিনিস মধ্যে যে সকল দ্রব্য যে দেশে যে সময় যাহাদের পক্ষে উপকারী তাহাই তাহীদের সেব্য যাহা অপকারী তাহাই অসেব্য । প্রস্তব লিখক! আপনি লিখিয়াছেন, “যে মৌলবী সাহেব গোমাংসের জন্ত এত লালায়িত, এক টুকরা গোমাংসের জন্য এত জেদ এত প্রতিবাদ ধৰ্ম্মত বলুন তো প্রতিদিন দুবেল কি তাহ খাইয়া থাকেন ? প্রতি সন্ধ্যা কি গোমাংসে ক্ষুধ নিবৃত্ত করেন ? না প্রতি সন্ধ্যাতে গোমাংস ব্যঞ্জনে অন্ন বঞ্জিত করিয়া থাকেন ? ন। সপ্তাহে দুদিন কি একদিন গে:মাংসের স্বাদে রসনা পরিতৃপ্ত করেন ? না প্রতি সন্ধা খাইতে ইচ্ছা কবেন ? ধর্শ্বের দোহাই মিথ্যা বলিবেন না ।” মহাশয় কোন মৌলবী সাহেব গোমাংসের জন্য লালায়িত নহেন, গোমাংসের জেদে প্রতিবাদও করেন না, প্রতিদিন প্রতি সন্ধ্য র্তাহারা যে গোমাংস খাষ্টয়া থাকেন একথা কোন মৌলবী সাহেব লিখেন নাই ও বলেন নাই । গোমাংস বলিয়া কথা কি, আপনি ধৰ্ম্মত বলুন তো আজ যে যে ব্যঞ্জনে অন্ন বৃঞ্জিত করিয়াছেন প্রতিদিন কি প্রতিসন্ধ্যায় তাহ! কি খাইয়া থাকেন ? কখনই নয় । বিগত ১৫ই শ্রাবণের প্রবন্ধ পাঠ করিয়া দেখুন তাহাতে আপনি কত ধৰ্ম্ম বিগর্হিত কথা লিখিয়াছেন, সে কথা কি দুমাস ছমাসেই ভুলিয়াছেন ? মহামান্য পবিত্র কোরাণ শরীফে খোদাতাল আদেশ করিয়াছেন, “তোমরা গোমাংস সেবন কর।” আপনি লিখিয়াছেন, “আমরা যেন আর গোখাদক বলিয়া অভিহিত না হই ।” তজ্জন্তই মৌলবীগণ আপনার প্রতি কাফেরের ফতওয়া দিয়াছেন। আপনি ধৰ্ম্মত বলুন তো কখনও গোমাংসের ব্যঞ্জনে আপনার অন্ন রঞ্জিত হইয়াছে কি না ? গোমাংসের সুব্রুয়া ঢালিয়া লইয়াছেন কিনা ? বাট ভরা গোমাংস না পাইলে ক্রোধে জ্বলিয়া ছারখার হইয়াছেন কিনা। এখনও মধ্যে মধ্যে চুপেচুপে গোমাংসের বাটীর সামনে গমনাগমন করেন কিনা ? যাহারা কুড়ি ত্রিশ বৎসর গোমাংস সেবন করিয়া প্রকাশ্বে গোমাংসের নিন্দ করে তাহাদিগকে ধিক । শতধিক । মৌলবী সাহেবগণ বলেন, পবিত্র কোরাণ শরীফের ব্যবস্থানুসারে গোমাংস সেবন করা মুসলমানের পক্ষে হালাল। কোরবানি করাও হালাল। গোমাংস খাইলে যাহার শারীরিক উপকার হয় তাহার খাওয়ায় বাধা নাই, না থাইলেও পাপ নাই, আবার গোমাংস খাইলে যাহার শারীরিক অপকার হয়, তাহার নাখাওয়াই কৰ্ত্তব্য। কিন্তু গোমাংস ও কোরবানিকে হালাল বিশ্বাস করমুসলমান মাত্রেরই