পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/৪০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গো-জীবন \ר כס উচিত। যিনি মুসলমান হইয়া উহা হালাল না জানেন তিনি কাফেরের মধ্যে পরিগণিত, এই এসলামী ধর্মের সার ব্যবস্থা । প্রস্তাব লিখক । আপনি লিখিয়াছেন “প্রকৃতি কাহারও নিকট কোন উপদেশ লইয়া কোন কাৰ্য্য করে না । স্বভাবের বৈপরিত্তও সহজে ঘটে না জোর জোববান ঘটাইবার চেষ্টা করিলেও টেকে না।” মহাশয় যিনি কেবল আপনার এই মন্ত্রে দীক্ষিত, তিনি নাস্তিক। যাহারা নাস্তিক তাহাবা এসলামীয়া ধৰ্ম্মানুসারে কাফেয়। তাহার কখনই মুসলমান বলিযা গণনীয নহে। আপনার এই মন্ত্রটি যদি কেহ কাহাব পরিবারবর্গকে শিখাইয়া দেয়, এবং বলিয়া দেয় যে তোমাদের স্বভাবে যাহা ল্য তাহাই কব কোন বাধা বিল্প মানিও না। তবে তাহাব বাটিতে অনতিবিলম্বে কোন অমঙ্গলের আশঙ্কা আছে কিনা ? আবার যাহারা ঐ মন্ত্র জপ করিয়া থাকেন যদি তাহারা তাহাদের পবিবাবকে পিনজব পাখীর ন্যায় আবদ্ধ রাখেন তবে তাহাদের প্রকৃতির আদেশ ভঙ্গ হয় কিনা ? প্রস্তাব লিখক! যাহারা গোমাংস সেবন করে তাহার তে আপনার কথামুসারে প্রকৃতির নিয়ম লঙ্ঘন কবিয়া থাকে। মানিলাম! ভাল বলুন দেখি যাহার গোবংশগুলোকে জবরদস্তি ক্রমে বাধিয়া রাখিয়া তাহদের জীবিকা কাড়িয়া খায়, তাহার প্রকৃতিব নিয়ম ভঙ্গ করে কিনা ? আফসোস ! খোদরা ফজিহত । দগররা নছিহত । প্রস্তাব লিখক । আপনি লিখিযাছেন, “যে দেশে যাহা প্রয়োজন, সে দেশের জন্ত করুণাময় ভগবান অপৰ্য্যাপ্তরূপে তাহ দান করিয়াছেন। মহাশয় ! আপনাব এই কথা স্বীকার্য্য। সেইজন্তই ভারতে মুসলমানগণ গরু খাইয়া থাকেন। কেননা খোদাতালা ভারতে অপৰ্য্যাপ্তরূপে গরু স্বষ্টি করিয়াছেন । দেখুন প্রায় সহস্ৰ বৎসরাবধি মুসলমানগণ গরু খাওযা সত্ত্বেও ভারতে গরুর কোন অংশেই নূ্যনত নাই। সে দিগেই চাওয়া যায় সেইদিগেই শত শত গরু দৃষ্টিগোচব হয়। অতএব এদেশে গরু খাওয়া ধে খোদাতালার অভিপ্রায় তাহা আপনার লিখাই প্রমাণ করিতেছে। যাহারা গরু খাওয়া নিষেধ করেন তাহারা খোদাতালার অভিপ্রায়ের বিরুদ্ধে দাড়াইয়াছেন। নউজ বেল্লা মেনুহ ! প্রস্তাব লিখক! আপনি লিখিয়াছেন “আর চাই কি ? দশটি কুণ্ঠরোগাক্রান্ত ব্যক্তির পরিচয় লইয়া দেখিবে তাহার মধ্যে কয়জন হিন্দু আর কয়জন মুসলমান।” মহাশয় । আমরা বোধ কত্ত্বি মুসলমানের সংখ্যা অধিক হইবেক না, গোমাংগের