পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ক্টর শাররফ হোসেন রচনাঙ্গঞ্জে ያe নট—আমি সত্য অসত্যের কথা বলছিনে, ভয়ের কথাও বলছিনে, বলি কথাটা কি ? সূত্ৰ-কথা এমন কিছু নয়। কলিকালেব প্রজারা মহা স্বখে আছে। কলিরাজও প্রজার স্বখচিস্তায় সৰ্ব্বদা ব্যস্ত ; কিসে প্রজার হিত হবে, কিসে সুখে থাকবে এরি সন্ধান করছেন । কিন্তু চক্ষের আড়ালে দুৰ্ব্বলের প্রতি সবলের যে কত অত্যাচার, কত দৌরাত্ম্য করছে তাব খোজখবর নেই। নট-কেন, এ আপনার নিতান্তই ভুল। রাজার নিকট সবল-দুৰ্ব্বল , ছোট-বড়, ধনী-নির্ধন, সুখী-দুঃখী, সকলি সমান ! সকলি সম স্নেহের পাত্র । সকলের প্রতিই সমান দয়া। আজকাল আবার দীন-দুঃখীদের প্রতিষ্ট বেশ টান ! সূত্ৰ-( ক্ষণকাল নিস্তব্ধ ) আচ্ছ, মফস্বলে একরকম জানওয়ার আছে জানেন ? তারা কেউ কেউ শহবেও বাস করে, শহরে কুকুর, কিন্তু মফস্বলে ঠাকুব ! শহরে তাদেব কেউ চেনে না, মফস্বলে দোহাই ফেরে। শহবে কেউ কেউ জানে যে, এ জানওয়াব বড় শাস্ত—বড় ধীব, বড় নম্র ; হিংসা নাই, দ্বেষ নাই, মনে দ্বিধা নাই, মাছ-মাংস ছোয় না । কিন্তু মফস্বলে শুল, কুকুর, শূকর, গরু পর্য্যন্ত পাব পায় না। বলব কি, জানওয়ারেবা আপন আপন বনে গিয়ে একেবারে বাঘ হয়ে বসে । নট-কি কথাই বললেন, বাঘ বুঝি অব জানওয়ার নয় ? স্বত্র—আপনি বুঝতে পারেন নাই। এ জানওযারদের চারখানা পাও নাই আর ল্যাজ ও নাই । এরা খাস' পোশাক পরে, দিব্বি সরু চালের ভাত খায় । সাড়ে তিনহাত পুরু গদিতে বসে, খোসামোদে কুকুররাও গদির আশেপাশে ল্যাজ গুড়িয়ে ঘিরে বসে থাকে। কিছুরই অভাব নাই, যা মনে হচ্ছে তাই করছে। বিনা পরিশ্রমে স্বচ্ছদে মনেব মুখে কাল কাটাচ্ছে। জানওয়ারেরা অপমানভয়ে নিজে কোন কাৰ্য্যই করে না । ভগবান তাদেব হাত-পা দিয়েছেন বটে, কিন্তু সে সকলই অকেজো । দিকিব পা আছে অথচ ইটবার শক্তি নাই ! দেখতে খাসা হাত কিন্তু খাদ্যসামগ্ৰী হাতে করে মুখে তুলতেও কষ্ট হয় ! কি কবে ? আহারের সামগ্রী প্রায় চাকরেই চিবিয়ে দেয় ! এরা আবার দুই দল । নট-দল আবার কেমন ?