পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& 8 মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্ৰহ আমি—চুপ কর চুপ কর, ঐ কেঞ্চমণি আসছে। যদি কিছু ওৰ কানে গে থাকে, তবে এখনই বলে দেবে। মা গো, ওতো সামান্তি মেয়ে নয় ! নূর—তাই তো, ও আবার আসছে কেন ? ওকে দেখলেই যে আমার প্রাণ উড়ে ষায় ! ( ঝোল কক্ষে, ঘটি হস্তে ক্লষ্ণমণির প্রবেশ ) BSBB BBB BB BB BB S B BBB SBBB BBS BBS BBB BB BBB দেখছি কেন গো ? কেঁদে কেঁদে দুটো চোখ যে একেবারে বাঙ করেছ, ওমা, এ কি গো ? আমি—ও মবে গেছে, ও কি আর আছে ! মোল্লাকে যে কাচারি ধবে নে গেছে, তুমি শোননি ? কৃষ্ণ—দুই চক্ষের মাথা থাহ মা ! আমি কিছুই শুনিনি ! ধবে নিসে গেছে, সে কি ? কেন, আবু তে দোষ করবাব লোক নম । আমি—শুধু ধবে নিয়ে গেছে ! ধবে নিয়ে পঞ্চাশ টাকা জরিমান ঠেকেছে ; আরও কত অপমান কচ্ছে, টাকার জন্য মাথায় ইট দিয়ে খাড়া কবে নাকি রেখেছে ! এদের তো ঘর কুডুলে পাঁচটা পযস বেরোবে না ; এত টাকা কোথায় পাবে ? এই কি হাকিমের বিচার ? কৃষ্ণ -( কিঞ্চিৎ ভাবিয়া ) আহা-হা, এত করেছে ? হা কৃষ্ণ ! কি কপবে বাছা ! জমীদার দ গু করলে আর বঁচিলার উপায় নেই ! টাকা দিতেই হবে— জমীদাব টাকা নেবার জন্তে ধল্পে আব এডান নেই । তবে একে ভয়ও করতে হয় —তার কথা শুনতে হয়, জমীদার আস্ত বাঘ । নূর-দুর্জনকে সকলেই ভয় করে । এই কি তার বিবেচনা ? আমাদের দিন চলাই দায়, কোন কোন দিন উপোস করেও কাটাতে হয়, এতে যে বিনি দোষে এত টাকা জরিমানা কল্লেন, কোথেকে দেব ? ঘরদোর ঘটিবাটি বেচলেও তো পঞ্চাশ টাকার অৰ্দ্ধেক হয় না । দেখ দেখি বাছা, এ তার কেমন বিচার ? হাকিমে এমন করে বিচারে মাল্পে আর কার কাছে দাড়াব ? এরপর যদি হাকিমের পর হাকিম থাকতো, তবে এর বিচের হতো ! কৃষ্ণ—ও মা ! হাকিম থাকলে করতে কি ? জর্মদারের হাত কদিন এড়াবে ? হাকিম তো আর সকল সময় কাছে বলে থাকবেন না! জমাদার যখন মনে