পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জমীদার-দপণ «) ა জামা—হুজুর ! আমরা চাকর । যে হুকুম করবেন তামিল করবই ! কিন্তু শেষে যেন মারা না যাই ! হয়—তোমাদের কি ? এর জন্তে যদি আমার সর্বস্ব যায়, তাও স্বীকার, ! নূরস্নেহার কেমন সাচ্চ দেখবো । আর বিলম্ব করে না, এখনই যাও, আর সহ হয় না ! কি ? মেয়েমামুষেব এত বড় কথা ! জামী-হুজুবেব হুকুম, চল্লেম ! ( সেলাম পূৰ্ব্বক জামাল-কামালের প্রস্থান) হাঃ – কিঞ্চিৎ ভাবিয। ) আর ভাবলে কি হবে, যা অদৃষ্টে থাকে তাই হবে! ( তৃতীয় মোসাহেবের প্রতি - ) গুহে টান না ? তু মো—( গুলি টানিতে আরম্ভ কৰিল । গু খো—( আগুন দিতে অগ্রসব } হায়—শুধু শুধু টান । কেউ গান ধর ন!— তু মো— আচ্ছা এই ছিটেটা ওড়াই । গু খো— কৰ্ত্তা. আমি সারাদিন কিছুক্ত খাইনি । হায়—কিছুই খাসনি : এই যে এত ছিটে খেলি ! গু খে—কর্তী, না জলচুকুও মুখে দিইনি । তৃ মো—আচ্ছা এই দুটো পয়সা নে, বাজারে জলপান কিনে খেগে যা ! ( দুটো পয়সা দান ) ( সেলাম পৰ্ব্বক গুলিখোরের প্রস্তান ) হায়—একটা গান ধরন । তৃ মো—আচ্ছা । ( মোচে ত। দিয়া, একটু চাট খাইয়। ) তবে একটা মধ্যমান গাই । ( রাগিণী জঙ্গলা— তাল আড়খেমটা ) যে বলে হয় হাড় কালী সকের ছিটে টানলে পরে দুগালে চার চড় লাগাই তাব, দেখা পেলে রাস্তার ধারে । যে পেয়েছে গুলির মজা, উড়ছে তার মামের ধ্বজ মনে মনে হয় সে রাজা, যখন আড়ায় এসে