পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্ৰহ وخ وخ বলে কি তুমি আমাদের মা হবে না ? মা—আ—মার–আ—ম—সয় না, মা—ম—ম আমি মেয়ে দয়া–কর—তো—পা—য়—( ३ङ्क ) হায়—ওহে, যথার্থ মলো ! ( নিকটে যাইয়া নাসিকায় হস্ত দিয়া ) নিশ্বাস নাই । মরেছে, না ঐ যে তলপেট নড়ছে? কই আর যে নডে না । বুঝি পেটেরটাও মলে ! (বুকে হাত দিয়া ) এখন উপায় ? ( প্রথম মোসাহেবের প্রস্থান ) দ্বি মো—আর উপায়। তখনই তো বলেছিলাম যা করবেন আগেপাছে বিবেচন। করে করবেন। এখন তো খুনের দায়ে ঠেকতে হলো ! হায়—চুপ চুপ খুন খুন কবে না । যা হবার তা হলো, এখন কি করা যায় । অদৃষ্ঠে ষা থাকে তাই হবে, বসে বসে ভাবলে আর কি হবে । বাত থাকতে থাকতেই এল একটা উপায় করা চাই । দ্বি মো—আমার বুদ্ধিমুদ্ধি কিছুই নাই। আমি একেবারে জ্ঞানশূন্য হয়েছি। যা আপনি ভাল বোঝেন করেন । হায়—জামাল ! তোমার বিবেচনায় কি হয় ? জামা—আপনি যে হুকুম করেন তাই করব । এতে আর আমাদের বিবেচনা কি ? ( প্রথম মোসাহেব এবং নিদ্রোখিত বেশে সিরাজ আলীর প্রবেশ ) সিরা—আরে পাজি রে! এমন কাজ কল্লি ? একেবারে হাবু খাব নাম ডুবালি ? তোর কি কা গুজ্ঞান নাই ? চিবকালই কি তোর এইভাবে গেলো! লক্ষ্মীছাড়া আর কি মরবার জায়গা ছিল না ? এমন কাজ কি করতে হয় ? যত গোয়ার একঠাই জুটে এই কাজ করছে । এখন মুখে কথা নাই। তোব জন্ত সৰ্ব্বনাশ হবে। পূৰ্ব্বপুরুষের নাম গেল, তুই কি একেবারে পাগল হয়েছিস ? এখন আর কি বলবো ? তোরে এ বুদ্ধি কে দিল ! ( দ্বিতীয় মোসাহেবের প্রতি ) এখন মুখে কথা নাই। পাজিরা এখন কেউ নেই। সৰ্ব্বনাশ কল্লি । লুটে পুটে মজালি ! রাগ আর বরদাস্ত হয় না—(দ্বিতীয় মোসাহেবকে মূষ্ট্যাঘাত ) তোরাই আমার সর্বনাশ কল্পি। তোদের কুপরামর্শতেই হয়েছে। দ্বি মো—দোহাই আল্লার কোরানের কিবে আপনার গ ছু য়ে বলতে