পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জমীদার-দর্পণ ు পারি, আমি দফায় দফায় মান করেছি, এমন কাজ করবেন না । তা কি উনি শুনেন, উনি না একজন ! সিরা—জামাল! তোরাই সৰ্ব্বনাশ কল্লি ! তুই কি এই বদমাইশদের দলে মিশে গেছিস ? জামা–কর্তা, আমি কি আর করবো ? হুকুম কল্পে তো আর অদুল করতে পারিনে । সিবা—আর সকল বেটাবা কোথায় ? জামা—সকলেই পালিয়েছে । সিরা—(উপবেশন এবং অনেকক্ষণ পর্যন্ত হেঁটমুখে চিন্তা ) হায় ! এখন কি হবে ? উপায় ? বাচবার উপায় কি ? এখন আর কি সেদিন আছে ? এই হাতে কত কা গু কবেছি, কতজনের ও কৰ্ম্ম করেছি, সাবেক কাল হলে আর এত ভাবতে হতে না ! পাজিরা শোনেও নাই ? আমার বাপজী কুকুর দিয়ে মানুষ খাইযেছেন । আর আমবাও কত কি করেছি, এখন যে কেন চুপ করে থাকি তা তো তোরা বুঝবি না । জামা—তা বলে আর কি হবে ? এখন বাসবার পথ দেখা যাক । সিবা—এক কাজ কব যাক, বাত শেষ হয়ে এলো । আর কোন উপায়ই এখন হয় না। তবে সকলে হাতাহাতি করে ধরে নিয়ে আবু মোল্লার বাড়ির উত্তর দিকে খেজুরবাগানে ফেলে আসা যাক । শেষে নসিবে যা থাকে তাই হবে । ভোব হলো—নেও, নেও উঠ, উঠ, আবে দেরি করে না । দ্বি মো—হজুর যা বল্লেন সেই ভাল ! চল আর বিলম্ব করে কােজ নেই। রাত ফরসা হয়ে এলো ! ( নেপথ্যে দুবার কুকুটধ্বনি) ঐ হয়েছে, আবার রাত নেই, ধর ধর— । সিরা– জামাল ধর, সকলেই যাচ্ছে ! জামা—( কোমরে চাদর জড়াইতে জড়াইতে ) তবে আর দেরি করা নয়, ভোর হয়েছে ! ঐ সেই পাগল বৈরাগী বেটা গান গাচ্ছে । ( কামালের প্রতি ) কামাল ধর ভাই, একটা মেয়েমানুষকে নে যেতে আবার আর কেউ কেন ? আমরা থাকতে বাবুরা হাত দেবেন । ( জামাল কামাল কর্তৃক শবদেহ লইয়া গমন। পশ্চাতে পশ্চাতে অধোমুখে সকলের প্রস্থান ) পটাক্ষপথ