পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জমীদায়-দৰ্পণ ዓ› ম্যাজি—ও হ'টেপারে না, টুমি আসামীর পক্ষে আছে, টােমার বক্তৃতা শেষে হটে পারে! (বাদীর মোক্তারের প্রতি) টোমার আর কি আছে ? মোক্তার--(স্বন্ধের চাদর রারে বারে নাড়িয়া এবং মোচে তা দিয়া ) ধৰ্ম্মাবতার ! এই মোকদ্দমার বাদি আবুমোল্লা প্রজা। আসামী হায় ওয়ান আলী জমীদার। প্রজা মোল্লার স্ত্রীকে বলপূৰ্ব্বক ধরিয়া আনা, বলাৎকার করিতে থাকা ও তাহেতু মৃত্যু হওয়ার প্রমাণ হইয়াছে। আর সেই জমীদার, সেই জমিদার আসামী অাব কয়েকজন আসামীকে মুঙ্গে করিয়া প্রাণভয়ে কোথায় পালিয়েছে তার সন্ধানমাত্র নাই । ইহাতে স্পষ্ট জানা যাইতেছে যে আসামীগণ সম্পূর্ণরূপে দোষী ও অপরাধী । ধৰ্ম্মাবতার ! খোদাবন্দ ! হায়ওয়ান আলী ( থুথু ফেলিয়া খুবড়ি ) ইiয ওয়ান আলী খা জমাদার মপস্বলে প্রজার হৰ্ত্তাকর্তা জমীদাব । তাদের আদালত ফৌজদারী জমীদারই নিম্পত্তা করিয়া থাকে –প্ৰজার পরস্পব বিবাদ নিপত্তা হ’ক্‌ বা না হ’ক্‌ আপনি নজরের টাকা হলেই হল ! প্রজার শাসনভয়ে মুখে কথা নাই, জমাদার যা বলেন কোন মতে ই তার অবধি হইতে পারে ন। জমীদারের অজানিতে কোন মতেই প্রজা বিচাবের প্রার্থনায় আদালত আশ্রয় করিলে তখন জমাদার একেবারে অগ্নিমূত্তি হইয় তার ভিটেমাটি একেবারে জালিয়ে ছারখার করে দেন। আর হাও অপ্রকাশ नद्म 6-क्ष ম্যাজি—চুপ, চুপ আসল কথা বল— মোক্তার—খোদাবন্দু ধৰ্ম্মাবতার ! এই মকদ্দমায় জমীদার স্বয়ং আসামী, সুতরাং প্রমাণ হওয়াই দায়, তবে যে হুজুর এতদূর হয়েছে সে কেবল সত্যি ঘটনা বলেই হয়েছে। নতুবা গরীবের সাধ্যি কি যে মকদ্দম করে । হায়ওয়ান আলী যে চরিত্রের লোক তার প্রমাণ এই দেখুন—(রায় দর্শন) ইতিপূৰ্ব্বে সাহেব জাদ হাকিমের আমলে এক হিলু স্ত্রীকে জাহরাণে ধরে এনে সতীত্ব হরণ করেন। ঐ প্রকার কত কুলবালার সতীত্ব নাশ করেছেন, ধ্বংস করেছেন, নষ্ট করেছেন, মাথা খেয়েছেন, জাতপাত করেছেন, সে আমি বলতে চাই নে। ধর্শাবতার! ওদের নিষ্ঠুরতার বিষয় কত প্রমাণ আছে। প্রধান প্রধান হাকিমের রায়েতে প্রকাশ আছে। (উপবেশন।)