পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१२ মীর মশাররফ হোসেন বচনাসংগ্ৰহ উকীল—ধৰ্ম্মাবতার ! মোক্তার মহাশয় যে এতক্ষণ ব’কে গেলেন এ মকদ্দমা সম্বন্ধে কি বলেছেন, কিছুই বলেন নাই। জমীদার এমন করে—জমীদার প্রজার প্রতি দৌরাত্ম্য করে—জমীদার প্রজার সর্বস্ব হরণ করে—সে কথা এ মকদ্দমায় কিছুমাত্র সংশ্ৰব নাই ; হায়ওয়ান আলী কি কবিয়া দোষী হইতে পারে,—তিনি অতি ধনবান, বিশেষতঃ বিচক্ষণ ধৰ্ম্মপরায়ণ, বয়স এ পর্যান্ত ৪০ বৎসর হয় নাই । তার দ্বাবা এমন কাজ হওয়া কখনই সম্ভব হয় না । কেবল মনোবাদ সাধন জন্য এই মিথ্যা নালীশ উপস্থিত হয়েছে, কোন সাক্ষীতেই এমন স্পষ্ট প্রমাণ দেয় নাই, যে আমাৰ মক্কেল নৃবম্নেহাব আওরতকে জবরাণ বলাৎকাব কবেছেন. অবে সেই বলাৎকাব কবেছেন, আব সেই বলাৎকারে তাহাব প্রাণ বিয়োগ হয়েছে, ফবিয়াদী আবু মোল্লা বড় ফেরেববাজ । আবু— গলবন্ত্রে অগ্রসর হইয়া) ধৰ্ম্মাবতাব । আমি নিতান্ত গরীব, আমার সাধা কি যে, জমীদারের নামে মিছে মকদ্দমা করি ? হুজুব সে— ম্যাজি—চুপ চুপ— কোর্ট সব ইনস্পেক্টরের প্রতি) দারগার রিপোর্ট পড । কোর্ট ইন—(রিপোর্ট-পাঠ আরম্ভ ) ফবিয়াদীর স্ত্রীর নূরস্নেহার আওরতের মৃতদেহ দৃষ্টে ও সাক্ষী হামছায়াগণের বাচনিক জোবানবন্দীতে ও তমিজদীন আসামীর স্বীকৃত জওয়াবের মৰ্ম্মে ও তাহার সন্ধানে বাদীর বাসস্থান গ্রামের তালুকদার ১ নং আসামী হায়ওয়ান আলী ও তস্য ভ্রাতা সিরাজ আলী সহিত ঐ গ্রামের আংশিক তালুকদার কাতল মারিয়া নিবাসী লাল বিহারী সাহার জমাজমী লইয়া বিবাদ ও মনবাদ হওয়ায় ছায়েল মজকুর ঐ খাদিগের আশ্রিত লোক থাকিয় এদানিক তাহাদের অসম্মতিতে সাহাদের অন্তগত ও বাধা হওয়ায় হায়ওয়ান আলী অতি লম্পট ও দুষ্ট স্বভাবের মতুযু বিশেষ উক্ত মনোবাদে বাদীকে নির্যাতন ও স্বীয় কুপ্রবৃত্তির সাধন জন্য আপন চাকর ও অনুগত ২ হইতে ১৮ নং প্রতিবাদীগণের সহিত জোটবদ্ধ হইয়। অমুক তারিখে অধিক রাত্রে ফরিয়াদীর প্রতি বাদ ২ নং আসামী বাটার নিকটে থাকিয়া ছায়েলের স্ত্রী প্রস্রাব করার জন্য ঘর হইতে বাহির হইলে তাহাকে বলপূৰ্ব্বক ধৃত করিলে ঐ স্ত্রী সোর করাতে বাদ প্রভৃতি বাহির হইয়া সোর করায় তাহাদিগকে ভয়