পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এর উপায় কি ? ( প্রহসন ) প্রথম অঙ্ক প্রথম রঙ্গভূমি ( নয়নতারার ঘব, নয়নতারা আসীনা ) নয়ন—(পান সাজিতে সাজিতে ) একখানা ঢাকাই শাড়ি দেখিয়ে পাচজনার কাছ থেকে পঞ্চাশ টাকা নিয়েছি । মীর বিয়ে হয়েছিল কিনা—শুনি নাই । বাবা কেমন চিনি না, কখনও দেখি নাই ; সেই বাবার ঘোড়া চড়া সাধ হয়েছিল বলে, তাতে বেশ দশ টাকা লাভ কবেছি। সোনা-রুপার অলংকাব যা আছে, সকলি আমি করেছি। এত করেও ‘হাবা" কথাটা মায়ের মুখ থেকে সরাতে পাল্লেম না। ফাকি দিয়ে আজ কিছু টাকা হাত করে, মাকে দেখিয়ে বলবো যে, মা ! দেখ দেখি তার নাকি কিছু বোঝে না। এখনি এর একটা ফন্দি এটে বাখি । ( পান সাজ। বাখিয়া একটু চিন্তা ) দূর কর, আর কি কবব, জামাইয়েব ঢাকাই শাড়িই আমার লক্ষ্মী, এই শাড়ি দেখিয়েই বাজি মাত করবো। খাটনিও কল, খাটাতে জানলে আর পট যায় না। আজ বড়দিন, বাবু যে কম করে বড়দিন করবেন, সে তো কথাই নয়। বড়লোক বড় রকমেই বড়দিন করে থাকেন, এখনও যখন দেখছিনে, তখন বোধ হচ্ছে যে, একেবারে তয়ের হয়ে আসছেন। তা আমি আগেই একখানা মলা কাপড় পরে এখানা সামনে ফেলে রাখি । ( কাপড় পরিতে গমন ) ( অন্ত দ্বার দিয়া জগার প্রবেশ ) জগ+—ও মা !—বাবু আসছে। কৈ, কোথা গেলে গা। (স্বগত) যাক মরুগগে, যেখানে ইচ্ছা সেখানে যাক, ফাঁকতালে গোটাকত পান চুরি করি ( কয়েকটা পান লইয়া কিঞ্চিৎ উচ্চেঃস্বরে ) কৈ গে, ও মাঠকরুন ! বাবু এসেছেন । ওগো বাবাঠাকুর এসেছেন। (অন্য কাপড় পরিয়। ঢাকাই শাড়ি হস্তে নয়নতারার প্রবেশ।)